গত প্রায় ৪ দিন নিখোঁজ ছিল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের লস্করপুর মধ্য পাড়া গ্রামের হাবলু মিয়ার শিশু কন্যা হালিমা খাতুন (৭)।তার নিখোঁজের পর থেকে পরিবার অনেক এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি।পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে পরিবারটি আইনী সহায়তা গ্রহণ করেন।
পুলিশ নিখোঁজ হামিদার বিষয় আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নামে।তারা হামিদার সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি চালায়।কোথাও সন্ধান না পেয়ে বাড়ীর অদূরে ৩টি পুকুরে ডুবুরি দ্বারা সন্ধান চালায়।সেখানেও মিলেনা হামিদার অস্তিত্ব।তারপরেও হাল ছেড়েনি পুলিশ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে হামিদার বড় চাচা আনিসার রহমান (৩৫), এর কক্ষে তল্লাশি চালালে সেখানে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো হামিদার মরদেহ পাওয়া যায়।অথচ একদিন আগে চাচা নিজেই লাশের সন্ধানে পুকুরে দিয়ে ছিলো ঝাঁপ।নিহত হামিদা প্লে শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, শিশু হামিদা নিখোঁজের পর থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের একাধিক টিম নিখুঁত তল্লাশি চালায়।এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেলে শিশুর চাচা আনিসার রহমানের বাড়ীর কক্ষ থেকে হামিদার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।এ ঘটনায় চাচা আনিছার’সহ ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।