জেসমিন আক্তার (২২) একজন কলেজ ছাত্রী। lকাজ শেষে বসুমতী পরিবহন যোগে ফিরছিলেন উত্তরা দক্ষিনখানের বাসায়।কিন্তু বাসায় যাওয়ার আগেই পড়েন বিপদে।রাজধানীর মিরপুর-১ সনি সিনেমা হল চত্বর পুলিশ বক্সের সামনে বসুমতী পরিবহনের জানালা দিয়ে কলেজ ছাত্রীর মোবাইলটি ছিনিয়ে দৌড় দেন এক ছিনতাইকারী।এসময় কলেজ ছাত্রী জেসমিন আক্তার চিৎকার করেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২৩) সকাল ১১ টায় মিরপুর-১ সনি সিনেমা হল চত্বর পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ ছাত্রীর চিৎকার শুনে সনি সিনেমা হল চত্বরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিরপুর ট্রাফিক জোনের কর্তব্যরত সার্জেন্ট তন্ময় দাস ধাওয়া করে ওই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন।এরপর তার কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেন জেসমিন আক্তারের হাতে।হাফ ছেড়ে বাঁচেন জেসমিন আক্তার।
মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া ছিনতাইকারীর নাম মো: বিল্লাল হোসেন (৩০)।তিনি মিরপুর-১ রাইনখোলার মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, মোবাইলটি ফিরে পেয়ে সার্জেন্ট তন্ময় দাস ও মিরপুর ট্রাফিক জোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই কলেজ ছাত্রী।আজ সার্জেন্ট তন্ময় দাস না থাকলে মোবাইলটি ফিরে পেতাম না।আমি তার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিরপুর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট তন্ময় দাস বলেন, জেসমিন আক্তার একজন কলেজ ছাত্রী।শুক্রবার সকালে কাজ শেষে সনি সিনেমা হল চত্বর পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে উত্তরার বাসায় ফিরছিলেন তিনি।কিন্তু যাওয়ার পথে বিল্লাল হোসেন কৌশলে জেসমিন আক্তারের হাতে থাকা মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে থাকেন।এসময় ওই কলেজ ছাত্রীর চিৎকার শুনে আমি ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে ধরতে সক্ষম হই।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি মিরপুর মডেল থানাকে অবগত করলে এস আই মইনুল ইসলাম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন।পরবর্তীতে মোবাইলটি সার্জেন্ট তন্ময় দাস ও এস আই মইনুল ইসলাম জেসমিন আক্তারের হাতে তুলে দেন।ছিনতাইকারীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার এস আই মইনুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারী মো: বিল্লাল হোসেন (৩০) কে আটক করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।