রাজশাহীর বাঘায় মোটরসাইকেলে ফেন্সিডিল বহনকালে সড়ক দূর্ঘটনায় শহীদ হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাঘা-বানেশ্বর মহাসড়কের মনিগ্রাম ইউনিয়নের বিনোদপুর বাজারে ট্রাকের সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে সে নিহত হয়। তবে ঘাটত ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
বাঘা থানা সূত্রে জানাযায়, নিহত শহীদ হোসেন পুঠিয়া উপজেলার দুর্লোভপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। মোটর সাইকেলের আরেক আরোহী আহত জনি হোসেনকে (৩২) উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জনি হোসেন চারঘাট উপজেলার ঝিকরা গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে বাঘা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় নিহত শহীদের লাশের পাশে কিছু ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা ধারনা করছেন বাঘা সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিল ক্রয় করে মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়নের বিনোদপুর বাজার নাইট গার্ড মকসেদ আলী বলেন, ভোর রাতে একটি মোটর সাইকেল নিয়ে চারঘাটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় একটি ট্রাক (পিক আপ) বাঘার দিকে যাচ্ছিল। হটাৎ বিকট শব্দ শুনে কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখি একজন ছটফট করছে আরেকজন পাশে কাতরাচ্ছে। স্থানীয়দের ডাকাডাকি করতে করতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং আহত একজনকে বাঘা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
বিনোদপুর বাজার কমিটির সভাপতি মামুন আল হক জানান, ভোর সাড়ে ৪টায় আমার বাজারের নাইট গার্ড ফজল আমাকে কল করে বলে বাজারে একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে। তখন আমি বাজারে এসে দেখি একজন ঘটনাস্থলে মারা গেছে এবং আরেকজন আহত হয়ে কাতরাচ্ছে। পরে বাঘা থানায় কল করি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় ১০টি ইন্টেক ফেন্সিডিলের বোতল ও ১৫ টি খালি ফেন্সিডিলের বোতল এবং একটি টিভিএস এপাসি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তবে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লিখিত নিয়ে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।