বাগমারায় এনজিও কর্মী পরিচয়ে টাকা ছিনতাই,৩ জনকে জনতার গণধোলাই

- আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

এম এস সাগর,স্টাফ করসপন্ডেন্টঃ
রাজশাহীর বাগমারা থানা এলাকায় এনজিও কর্মী পরিচয়ে টাকা ছিনতাইকালে তিনজনকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে থানা এলাকার কানাই শহরে এঘটনা ঘটে।ঘটনাস্থল থেকে জনতার গণধোলাই খাওয়া তিনজনকে প্রথমে হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ও পরে
বাগমারা থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের রায়হান দেওয়ানের স্ত্রী মোছাঃ ফিরোজা খাতুন ব্র্যাক এনজিও হতে ৮০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে ভ্যান যোগে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা তার পথ আটকায় এবং নিজেদেরকে এনজিওর কর্মী পরিচয় দিয়ে বলে ভুলবশত ওই সদস্যের নিকট বেশি টাকা এসেছে।টাকাগুলি গণনা করে দেখার জন্য প্রতারকরা তাদের হাতে চাইলে ব্র্যাক সদস্য ফিরোজা খাতুন টাকাগুলি না দিলে তারা জোরপূর্বক সম্পূর্ণ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়লে গণধোলাই শেষে ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত ২ টি মোটরসাইকেল সহ তিনজনকে আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখে জনতা।
ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা হল জেলা নওগাঁ মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজী গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম, আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ জাবেদ হোসেন, মৃত ময়াজ উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান।
পরে খবর পেয়ে আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম সাফি পুলিশে খবর দিলে হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ।পরে তাদের বাগমারা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।এঘটনায় বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
ঘটনাটি মোহনপুর থানা এলাকায় প্রচার হলে বেশ কয়েকদিন আগে মোহনপুর থানা এলাকার দুই জায়গায় এনজিও কর্মী পরিচয়ে অভিনব কৌশলে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে এ চক্র জড়িত বলেও অনেকে সন্দেহ করছেন।
সচেতন জনগণ মনে করেন, মামলা শেষে তাদের পুলিশ রিমান্ডে আনলে মোহনপুরে ছিনতাইয়ের সাথে তারা সহ আরো কোন চক্র জড়িত আছে কিনা তার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।