সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান।এ দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন সৌন্দর্যময় তেমনি এর অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও বৈচিত্রময়।আমাদের দেশের জনগণ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী।এ দেশের অধিবাসীরা বাঙালি, মণিপুরি, চাকমা, মারমা প্রভৃতি নৃগোষ্ঠীতে বিভক্ত হলেও একক পরিচয়ে বাংলাদেশী।
০২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার, দি হিংয়ের প্রজেক্ট, রাজশাহীর সহযোগিতায় ফ্রিডম ফর রিলিজিয়ন অ্যান্ড বিলিফ লিডারশিপ নেটওয়ার্ক এর আয়োজনে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের বিনোদপুর বাজারে সম্প্রিতি ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অলোচনা সভায় মনিগ্রাম ইউনিয়নের হোসেনপুর আদিবাসিদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মনিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামিলিগের সভাপতি ও মনিগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম, ০৫ নং ওয়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন সাধারন সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান সেন্টু, বিশিষ্ট সমাজসেবক বাবু শৈলেন চন্দ্র, বাবু শ্রী কৃষ্ণ, বিনোদপুর বাজার মসজিদের ইমাম, হোসেনপুর আদিবাসি গ্রামের বাসিন্দারা সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এবিষয়ে মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই মানুষ।এটাই আমাদের বড় পরিচয়।আমি কিছুদিন থেকেই শুনছি আমাদের বাজারে আদিবাসিদের হোটেল বা চা স্টল গুলোতে চা খেতে বা বস্তে দেওয়া হত না।আমি মনে করি আজকের আলোচনা সভার মাধ্যমে এই জাতি ভেদাভেদ সমস্যার সমাধান হবে।আমরা বাজারের বিভিন্ন চা স্টল গুলোতে অনুরোধ করে বলে এসেছি।
ইয়ুথ মোবেলাইজেশন মাসুম রাসেল বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।আমরা আমাদের দেশে কোন সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ যেনো না থাকে সেই লক্ষে কাজ করছি।আমাদের টিম বেশ অনেক দিন থেকেই শুনে আসছি হোসেন পুর গ্রামে কিছু সংখ্যক আদিবাসি আছে।তাদের আশে পাশের বিভিন্ন হোটেল বা চা স্টল গুলোতে চা খেতে অনিহা প্রকাশ করে তারা।আমরা আজ সেই ভেদাভেদ দূর করতে চাই।