রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্মহত্যা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা সারিয়াকান্দির সেই মেধাবী ছাত্র সাকিবুল হাসানের দায়িত্ব নিলেন সাহাদারা মান্নান এমপি সারিয়াকান্দিতে জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত সাকিবুল হাসানের সারিয়াকান্দিতে ইউএনও’র সাথে নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা বিনিময় সারিয়াকান্দিতে সরকারি খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন সারিয়াকান্দিতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-২ নালিতাবাড়ী খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দিতে অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে রেইজ প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সারিয়াকান্দিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে ছুরিকাঘাত
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

রাজাপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী ৮ মাসেও গ্রেফতার হয়নি,উৎকণ্ঠায় মা

স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার ৮মাস অতিবাহিত হলেও ২নং আসামী রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী গ্রামে ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবরের ঘটনায় ১৫ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা।আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন মামলার বাদী ভিকটিমের অসহায় বিধবা মা।তিনি আসামী ফুহাতকে গ্রেফতারেরও জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, মামলার প্রধান আসামী আলী হোসেন গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, রাজাপুর উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী এলাকায় স্বামী হারা বিধবা মা তার স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট কন্যা ও সাড়ে ৩বছর বয়সী নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন।স্কুলে যাবার পথে প্রায়ই উত্যক্ত ও হুমকি দিতো ওই এলাকার মৃত আনেচ মোল্লার ছেলে আলী হোসেন মোল্লা (২৭) ও ৪নং বড় কৈবর্তখালী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম মীরের ছেলে মো. ফুহাত মীর (২২)।

প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পরে দীর্ঘদিন বিদ্যুৎবিহীন ছিলো এলাকা।সেই সুযোগে ২৯ অক্টোবর রাত ২টায় আলী হোসেন মোল্লা ও ফুহাত মীর ঘরের পিছনের জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে মা ও সাড়ে তিন বছরের শিশুর হাত-পা ও মুখ বেধে গলায় চাকু ধরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আলী হোসেন।ফুহাত মীর তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে।ধর্ষণ শেষে ঘরের দরজা খুলে বের হবার সময় ঘটনাটি জানাজানি করলে তিনজনকেই একসঙ্গে জবাই করার হুমকি দেয় তারা।আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকিতে ভয় পেয়ে এবং লোকলজ্জায় বাড়ি ছাড়া হয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

স্বজনদের সাথে আলাপ করে বিচারের দাবিতে ১৫ নভেম্বর রাজাপুর থানায় আলী হোসেন ও ফুহাতকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-০৫) দায়ের করেন।

মামলার বাদী বিধবা মা অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে বলেন, আমরা গরীব মানুষ।আমাদের উপর নির্যাতন করা হইছে।থানায় মামলা দিছি, এখন পর্যন্ত একজন গ্রেফতার হয়নি।আসামীরা অত্যান্ত দুর্ধর্ষ, নির্মম ও চরিত্রহীন লোক।তারা পারে না এমন কোন কু-কর্ম নাই।এলাকায় যাকে তাকে মারধর করা তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ।আসামীরা কাউকে পরোয়া করে না এবং এলাকার সবাই তাদের ভয় পায় প্রধান আসামী আলী হোসেন এখনো জেলে আছে।ঝালকাঠি কোর্ট থেকে জামিন না পাওয়ায় তার ভাই আফজাল মোল্লা ঢাকা হাই কোর্ট থেকে জামিনে বের করে আনবে।তারপর আমাদের সাথে লড়বে বলেও এলাকার মানুষের কাছে শুনতে পাই।মামলার আট মাস পার হলেও ২নং আসামী ফুহাত মীরকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে নাই।কেন পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারে নাই জানি না।

রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আলী হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সেই খবরে ২নং আসামী ফুহাত মীর আত্মগোপনে চলে গেছে।তাকেও গ্রেফতার করতে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + eight =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x