রাজশাহীর বাঘায় ৭৪৩ বোতল ফেন্সিডিল ও এক ভারতীয় নাগরিকসহ দুই জনকে আটক করেছে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল।
রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা সুত্রে জানা যায়, ৫ জ়ূলাই রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের জনৈক জামাল উদ্দিনের আম বাগানে ভারত থেকে পাচার করে আনা ৭৪৩ বোতল ফেন্সিডিল আটক করা হয়।নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার এর নির্দেশনায় জেলা ডিবির এসআই ইনামুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম এই অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত মাদকসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলো বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত খামেদ মন্ডলের ছেলে মোঃ চপল আলী (৩৫) ও ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার কাগমারি গ্রামের মৃত নুজবার শেখ এর ছেলে মোঃ জামরুল শেখ (৩৪) বলে জানা যায়।
আটক ভারতীয় নাগরিক জামরুল গত রাতেই এই পরিমান ফেন্সিডিল পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীরা এই ফেন্সিডিল জামালের আম বাগানে গ্রহণ করবে এমন তথ্য পেয়ে গোয়েন্দা শাখার সদস্যবৃন্দ আম গাছে উঠে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করতে থাকে।ভারতীয় নাগরিক জামরুল দেশি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ফেন্সিডিলের বস্তাগুলো হস্তান্তর করার এক পর্যায়ে ডিবি সদস্যবৃন্দ তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়লে তিন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায় এবং দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
জামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় এর আগেও সে অসংখ্যবার এমন বড় বড় চালান বাংলাদেশে এনেছে।সে আরও জানায় বর্ষাকালে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় ফেন্সিডিল আনা সুবিধা হয়।সে ফেন্সিডিলের বস্তা টিউবের সাথে বেঁধে সাঁতরে নদী পাড়ি দেয়।
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে চপল জানায় সে দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে আসছে।সে বাঘা থানার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।তার নামে বাঘা থানায় ৫টি মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা রয়েছে।এ ঘটনায় বাঘা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খাইরুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।