স্মার্ট বাংলাদেশ এর অগ্রযাত্রায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করণের লক্ষ্যে “স্মার্ট বাংলাদেশে; এগিয়ে চলি এক এক সাথে” প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো চাইল্ড পার্লামেন্টের ২২ তম অধিবেশন।
প্রতি বছরের মত এ বছরও দেশের ১৬টি বিশেষ অঞ্চলের সর্বমোট ৪৩ জন (২২ জন মেয়ে শিশু ও ২১ জন ছেলে শিশু) ঢাকার ব্রাক ইনন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে চাইল্ড পার্লামেন্ট এর ২২তম অধিবেশন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর ওয়াই মুভস প্রকল্প ও সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, অপরাজেয় বাংলাদেশ এবং ইয়েস বাংলাদেশ চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন আয়োজনে আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা করে আসছে।
এবারের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্যরা তাদের এলাকার শিশুদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন এবং সমাধান চান।
বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবছর বিশেষ অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ এর অগ্রযাত্রায় শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করণ এবং এই অঞ্চলের শিশুদের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিতে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্যগণ সুপারিশ করেন।
২০৩০ এর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে, এই বিশেষ সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তথা শিশুদের জীবন মানের উনয়ন করতে হবে বলে শিশুরা মনে করেন।
এসময় শিশুরা ১৮ তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী এম এ মানান, এমপি’র সামনে উত্থাপিত শিশুদের সুপারিশসমূহ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০- ২০২৫) অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান ।
এছাড়া ২০২২ সালে ২১তম চাইল্ড পার্লামট এ প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রান্তিক অঞ্চলে শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন অসংখ্য কার্যক্রম এবং প্রদক্ষেপ এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানায়।
শিশুরা বলেন, বিগত চাইল্ড পার্লামেন্টে শিশুদের উত্থাপিত বিষয়সমূহের উপর বর্তমান সরকার অসংখ্য পদক্ষপ গ্রহণ করছেন।
যার মধ্য উল্লখযোগ্য- শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু, শিশু আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন জেলা ও উপজলা শিশুকল্যাণ বোর্ড গঠন, বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) প্রণয়ন ও জেলা পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরাধ কমিটি গঠন করা, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এর জন্য হেল্পলাইন প্রতিষ্ঠা, ষষ্ঠ হত দশম শ্রেণী পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা প্রদান, ধর্ষণের জন্য সব্বোর্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।এসময় উপস্থিত ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক্টিং কান্টি ডিরেক্টর আ.ফ.ম মাঈন, ওয়াই মুভস প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার রাজিয়া সুলতানা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং স্পেশালিস্ট সৈয়দা হুসনে কাদেরী, অপরাজেয় বাংলাদেশেট নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু ও ইয়েস বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ প্রমুখ।