গোয়ালঘরে হঠাৎই আগুন লেগে যায়, তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর কাজে এগিয়ে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি।দিনমজুর টিপু প্রামানিকের গোয়ালঘরে থাকা ৩টি গরুর মধ্যে ২টি গরু ও ২ ছাগল পুড়ে গেছে।আরও একটি গাভির শরীরের ৮০ ভাগ ঝলসে গেছে।গোয়াল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত টিপু প্রামানিক বলেন, ‘গতকাল রাত ২টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে।আমার সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
তিনি জানান, রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।রাত ২টার দিকে গরুর ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙে যায়।আগুন দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে টিপু বলেন,‘ আগুনে সব শ্যাষ হয়ে গেলো। গরু, ছাগল ও গোয়ালঘর পুরে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
ক্ষতিগ্রস্ত টিপুর স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, ‘আমরা এখন কি করে চলবো, গরুগুলো আমাদের স্বপ্ন ছিল।আমার স্বামী দিনমজুরি করে পরিবারের খরচ চালায়।আমাদের সব পুড়িয়ে শেষ হয়ে গেলো।
এ ব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাফি মন্ডল বলেন, শুক্রবার ভোরে গোয়ালঘরে আগুন লাগার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।তিনটি গরু ও ছাগল পুড়ে গেছে।ওই পরিবারকে সহোযোগিতা করার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: তৌহিদুর রহমান বলেন, আগুন লাগার ঘটনা শুনেছি।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেয়া হবে।