শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করা হলো না এনজিও কর্মী সঞ্জয়ের সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম ও আশিক রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় বাইক আরোহী নিহত,আহত ২ মান্দায় মহান মে দিবস পালিত মে দিবসে খাবার স্যালাইন,ক্যাপ ও পানি বিতরণ করল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন সারিয়াকান্দিতে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের মহান মে দিবসে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

মাদক প্রজন্ম ধংসের প্রধান কারণ

লেখকঃ প্রত্যয় সাহা

মানুষ সামাজিক জীব।মানুষ তাঁর সামাজিক পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে ওঠে।আমাদের সঠিক জীবনধারণের জন্য সমাজে বেড়াজালে আবদ্ধ হতে হয়।মা- বাবা ভাই বোন নিয়ে একটি পরিবার গঠিত হয়। কিছু পরিবারের সমষ্টিততে গড়ে ওঠে একটি সমাজ।একইভাবে গ্ৰাম, শহর ও রাষ্ট্র গঠিত হয়।

একটি দেশ গড়ে ওঠে দেশের মানুষের যাপিত জীবনের ওপর ভর করে।এই আবদ্ধতা আমাদের সমাজে ভালো কিংবা মন্দ স্তরে বাঁচতে ধাবিত করে।তরুণ প্রজন্ম পরিবারের পরে শিক্ষকদের কাছে থেকে শেখে।কিন্তু শিক্ষকরা নানা মতাদর্শে বিভক্ত হওয়ায় তরুণরা শিক্ষকদের আদর্শহিসাবে গ্ৰহণ করছে না।

এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সমাজে দেখা দিচ্ছে নানান বিপর্জয়।সেগুলোর মধ্যে মাদক একটি ভয়ঙ্কর সমস্যায় রুপ নিচ্ছে দিনকে দিন।

অনেক সমস্যা আমাদের তরুণদের বিপথগামী করছে।তার মধ্যে একটা প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য কারণ হয়ে পরেছে মাদকাসক্তি।মাদক একটা সময় মেডিসিন হিসাবে ব্যবহার করা হতো।এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে নেশা দ্রব্য হিসাবে ব্যবহারের প্রচলন শুরু হতে থাকে।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই মাদকের বিস্তার রয়েছে।তবে বর্তমান সময়ে মাদকের বিস্তারের পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে মাদক গ্ৰহণের প্রবনতা বেড়েই চলেছে।যে বয়সে তাদের স্কুলের গন্ডিতে আবদ্ধ থাকার কথা সেই বয়সে তাদের সমাজে অবাধ বিচরণই বলে দেয় তারা কতটা নাজুক পরিস্থিতিতে আছে।

অতিতে স্টলে কোনো স্কুল পড়ুয়া ছাত্র পাওয়া যেত না।কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে কিংবা রেস্টুরেন্টে অথবা রাস্তার পাশেই অপ্রাপ্তবয়স্ক যুবকের বিড়ি সিগারেট ফুঁকতে দেখা যায় অহরহ।এখানে সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই মাদক গ্ৰহণের জন্য তো অর্থের প্রয়োজন এই অর্থ তাঁরা পাচ্ছে কোথায়?

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, তাঁরা পড়াশোনার নাম করে মা বাবার কাছ থেকে যে অর্থ নেয় এই অর্থের বিনিময়ে তাঁরা এই অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে।এটা একটা নিরব ঘাতকের মতো কাজ করছে।পরিবার থেকে সব কিছু জানতে পারার কারণে যদি পরবর্তীতে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পরিবার তখন তাঁরা চুরি ছিনতায়ের পাশাপাশি সমাজের নিকৃষ্ট কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে না।এমনকি টাকার জন্য তাঁরা অন্যের জীবননাশের ঘটনা ঘটাতেও পিছপা হয় না।

যেই বন্ধুটিকে দেখতাম নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে সে এখন গাঁজা হেরোইন এমন সব মাদক গ্ৰহণে ব্যস্ত থাকে।অধিকাংশ তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে মাদকের ডামাডোলে।তারা এখন মাদকের ভয়াল থাবায় আসক্ত।এই আসক্তির পেছনে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই ভয়াল দশা হবার পেছনে তাদের সহচরদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

মাদক গ্ৰহণের পেছনে আমরা অনেক কারণ দাড় করিয়ে দিচ্ছি অবলিলায়।তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যে, আমাদের উচিত হবে মাদক গ্ৰহণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা।তাহলে অন্তত কিছু সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে আশা রাখি।

এগুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং অভিভাবকদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

লেখকঃ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণী,
প্রতিষ্ঠানঃ সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x