দৌলতপুরের ঐতিহ্যবাহী দৌলতপুর মডেল কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খাঁন সুমন।
তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের একমাত্র প্রাক মডেল কলেজ দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ, ২০১৭ সাল থেকে দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়ে আসছে এছাড়াও দুই জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়েছে এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে।প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ও ভালো ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চাসহ সকল ক্ষেত্রে কলেজটি বিশেষভাবে সুনাম অর্জন করেছে।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ছাদিকুজ্জামান খাঁন সুমন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক, বর্তমান আমার সভাপতি একজন সৎ ব্যক্তি অ্যাডভোকেট হাসানুল আস্কার হাসু জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দৌলতপুর কলেজ ১১ টি বিষয়ে অনার্স এবং তিনটি বিষয় মাস্টার্স কোর্স সহ সকল বিষয় নিয়ে সুনামের সাথে পরিচালনা হচ্ছে।আপনারা জানেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত দৌলতপুর মডেল কলেজ একটি স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।পড়াশোনা ও ভালো ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা সহ সকল ক্ষেত্রে কলেজটি বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে।আমি ২০১৭ সাল থেকে সরকারি সকল বিধিবিধান মেনে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে কলেজের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এ্যাডঃ হাসানুল আস্কার হাসু’র দিক নির্দেশনা বিগত দিনে কলেজের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যা সবাই অবগত।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতা বিরোধী কিছু ঘাপটি মেরে থাকা কথিত নেতা দীর্ঘদিন ধরে কলেজের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি থাকাকালীন তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার সাহস পাননি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ পরাজিত হওয়ার পর পরই এই চক্রটি তাদের দীর্ঘদিনের লালিত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।তারা বিভিন্ন ভিত্তিহীন ও মনগড়া কিছু কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে তা একদম ভিত্তিহীন মনগড়া।তারা অর্থ দিয়ে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত করে সংবাদ ছাপায় এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়।এভাবে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে এই স্বনামধন্য কলেজের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্য করেছে।অথচ খোদ অভিযোগকারী বিরুদ্ধেই সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খাঁন সুমন আরও বলেন, আমি দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে জানাতে চাই, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ভোট করায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সংসদ সদস্য কর্তৃক ফ্রিডম পার্টির নেতা বোমারু জাহিদের ছোট ভাই কে দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, অত্র কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ হিসেবে আমার মতো মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় বিশ্বাসী একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।যা আমার স্বনামধন্য কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।একই সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
তিনি উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ প্রাপ্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছি।তবুও কথিত নেতা আমার নিকট থেকে অবৈধ ও অন্যায় সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে নানাভাবে বিভিন্নজনকে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ প্রদানের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।কিন্তু আমি আবারো দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরো জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে উল্লেখিত প্রতিটি ব্যয়সমূহ কলেজের সংশ্লিষ্ট কমিটি কর্তৃক সম্পন্ন করাসহ বিজ্ঞ গভর্নিংবডি কর্তৃক তা রেজুলেশনের মাধ্যমে যথাযথভাবে অনুমোদিত রয়েছে।কলেজের বার্ষিক সকল আয়-ব্যয় অভ্যন্তরীণ এবং সি.এ ফার্ম কর্তৃক ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত অডিট করা আছে।