স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারত্ব ও গণহত্যা মানবতাকে ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষকে সোচ্চার হবার আহবান জানিয়েছে।
ণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগণের উপর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে তা বিশ্বের কোনো শান্তিকামী মানুষই মেনে নিতে পারে না।সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রত্যক্ষ মদদে কয়েক দশক আগে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে গড়ে ওঠা ইসরায়েল রাষ্ট্রটির কোনো বৈধতা নেই।বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই ইসরায়েলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।তারপরও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং এর দোসরদের সহযোগিতায় ইসরায়েল রাষ্ট্রটি সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ ভূমি নিজেদের করায়ত্ত করেছে।ফিলিস্তিনের জনগণের উপর বহুবার নৃশংস হামলা চালিয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, পবিত্র রমজানেও ফিলিস্থিনী জনগন গণহত্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।গাজায় নির্বিচারে নারী ও শিশু হত্যা গোটা বিশ্ববিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।ইসরায়েলী বাহিনী গাজার হাসপাতাল, রিফিউজি ক্যাম্প, ত্রাণ বিতরণস্থলসহ সর্বত্র বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে।যার ফলে সেখানে এক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
তারা বলেন, প্রতিদিন ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজার লোকেরা শহীদ হচ্ছে।এই রমজানে তারা ঘাস খেয়ে জীবন যাপন করার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে।তাদের ত্রাণ শিবিরগুলোতে পর্যন্ত দখলদার বাহিনী হামলা চালাচ্ছে অথচ গোটা পৃথিবীর বিবেক হিসেবে যারা দাবি করে তারা এর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।তারা যেকোনো কিছু হলেই মানবাধিকারের কথা বলে, মানবতার কথা বলে কিন্তু ফিলিস্তিনের গণহত্যা নিয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন আল-আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা।আল-আকসা মুসলমানের পুণ্য ভূমি।এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ।এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, এ দায়িত্ব গোটা মুসলিম উম্মাহর।দীর্ঘ প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরাইল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে।আর ইসরাইলকে সহায়তা করছে পশ্চিমাগোষ্ঠী।পশ্চিমারা ইসরাইলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে।স্বাধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরাইলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।
তারা বলেন, আমরা ইফতার করছি, সেহরি করছি, রোজা রাখছি কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে আমাদের হৃদপিন্ড ফিলিস্তিনের মানুষ আজ সেহরি ও ইফতার করার কোন ব্যবস্থা ছাড়াই রোজা রাখছে।দিনকে দিন ফিলিস্তিন ভুখন্ড থেকে মুসলমানদের মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।পশ্চিমাদের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার ব্যাপারেও সোচ্চার রয়েছে।যা বাঙালিদের জন্য গর্বের বিষয়।