রাজশাহীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী অগ্রণী বিদ্যালয় অনুষ্ঠিত হয়।পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী এ কর্মশালার আয়োজন করে।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প এ সহযোগিতায় এ কর্মশালায় অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শব্দ সচেতনমূলক এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কল্যাণ চৌধুরী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মেডিকেলের নাক কান গলা হেড-নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক সুব্রত ঘোষ, রাজশাহী অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষ সাইফুল হক।
কর্মশালায় শব্দ দূষণের কারণ বা উৎস ক্ষতিকর প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণে উপায় সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন ও সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ কবির হোসেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইফুল হক বলেন, শব্দদূষনের বিষয়ে আমরা নিজেরা সচেতন হবো এবং আমাদের অন্যান্য সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহবান করব। এই ধরনের প্রশিক্ষণ আরও বেশি বেশি আয়োজন করার আহ্বান জানান তিনি।
সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুব্রত ঘোষ শব্দ দূষণের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তা থেকে কীভাবে বের হওয়া যায় সে বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী বলেন, শব্দের একটা সহ্যসীমা থাকে।সেই সীমার বাইরে চলে গেলে তা শরীর ও মনে প্রভাব পড়ে।এই শব্দ দূষণ রোধে সবার আগে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা।কারণ আমাদের শিক্ষার মধ্যেই এমন কিছু থাকা উচিত না যে যা অন্যকে বিরক্তির সৃষ্টি করে।একান্ত নিজের কথা না ভেবে সবাইকে নিয়ে চিন্তা করতে শিখতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাহমুদা পারভীন বলেন, শব্দ দূষণ একটি নীরব ঘাতক।এটি মানুষের শারীরিক মানসিক ক্ষতি করে থাকে।এ সংক্রান্ত নানা রকম আইন বাংলাদেশে রয়েছে। সেই আইন প্রয়োগও হচ্ছে।শব্দ দূষণ রোধে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
দুই ঘণ্টাব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।