রাজশাহীতে গত নয় মাসে (জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর) ৪২ জন কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।ধর্ষণ-১১ গনধর্ষন-০১ ধর্ষণের চেষ্টা-০১ যৌন নির্যাতন-০৩ ইভটিজিং-০১, হত্যা-০৪, হত্যার চেষ্টা-০২, আত্মহত্যা ০৬, আত্মহত্যার চেষ্টা-০১, অপহরণ-০৩, অপহরণের চেষ্টা ০১, নিখোঁজ-০৩, নির্যাতন ০৫ জন কন্যাশিশু।
উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিক্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে।লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে কন্যাশিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে।বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়।
এমন বাস্তবতায় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ “বিনিয়োগে অগ্রাধিকার-কন্যাশিশুর অধিকার” এই স্লোগানে এবারের জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০২৩ উৎযাপিত হচ্ছে।
সম্প্রতি সময় যেমন কিশোরী ও কন্যাশিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তেমনি অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেদের ‘আমরাও পারি’ প্রতিষ্ঠা করেছে।শিক্ষা জগতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তারা অগ্রগামী হয়েছে, নির্যাতন প্রতিরোধে ৯৯৯ এর ব্যবহার শিখেছে, সহপাঠিদের বাল্য বিবাহ বন্ধে উৎসাহিত করছে যা আমাদের অর্জন।আমরা চাই সকল কন্যাশিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারী-বেসরকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কন্যাশিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে একিিট নিরাপদ কন্যাশিশু সহ সকল শিশু নির্যাতনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
একই সাথে কন্যাশিশু সহ সকল শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানান লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন।
তিনি আরও বলেন একজন শিক্ষিত নারী তার পুরো পরিবারকে শিক্ষিত করার ক্ষমতা রাখে।তিনি বলেন, একজন বন্ধু, একজন বোন, একজন স্ত্রী, একজন মা, একজন কন্যা।একটি মেয়ে শিশুকে হত্যা করা মানে এই পুরো প্রজন্মকে হত্যা করা।
কন্যা সন্তানকে বাঁচান, তাকে শ্রদ্ধা করুন।আপনার কন্যা পরিবার এবং সমাজের ভবিষ্যত।
লফস পরিবারের পক্ষ থেকে কন্যাশিশু দিবসে এই আহবান জানানো হয়।