সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সারিয়াকান্দিতে উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্মহত্যা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা সারিয়াকান্দির সেই মেধাবী ছাত্র সাকিবুল হাসানের দায়িত্ব নিলেন সাহাদারা মান্নান এমপি সারিয়াকান্দিতে জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত সাকিবুল হাসানের সারিয়াকান্দিতে ইউএনও’র সাথে নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা বিনিময় সারিয়াকান্দিতে সরকারি খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন সারিয়াকান্দিতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-২ নালিতাবাড়ী খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দিতে অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে রেইজ প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শিবগঞ্জ ইউএনওর দেয়া শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে কাঁদলেন শতবর্ষী সফুরা

বগুড়ার শিবগঞ্জের রহবল হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা সফুরা বেগম।স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তার বয়স ১২০ বছর।সহায় সম্বল বলতে কিছু নাই সফুরার।বিধবা মেয়ে সাহেরা বেগম (৬৫) এর বাসায় আশ্রয় নিয়ে অসুস্থ শরীরে দিনপার করছেন।চলমান শৈত্য প্রবাহে শীতে জবুথুবু তাঁর জীবন।

রবিবার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রহবল হিন্দু পাড়া গ্রামের অসহায় শীতার্তদের কম্বল উপহার দেন।সেই উপহারের কম্বলের একটি হাতে পান শতবর্ষী শীতার্ত সফুরা বেগম।

কম্বল হাতে পেয়েই কান্না করেন তিনি।বলেন, “হামার দিকে কেউ দেখেনি।শীতে কত কস্ট পাচ্ছি।আল্লাহ যেনো ওর (ইউএনও) ভালো করে। হামার মায়ের উপকার করছে ও।”

গত শনিবার রহবল হিন্দু পাড়া গ্রামের সত্তর বছর বয়সি বৃদ্ধা চম্পারানী আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।সংবাদ পেয়ে ঐ এলাকার অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার।রবিবার তাঁর উপহারের শীতবস্ত্র মৃত চম্পারানীর পুরো পরিবার ও আশেপাশের অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

ইউএনওর পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চম্পারানীর পরিবার ও গ্রামবাসী।

মারা যাওয়া চম্পা রানীর ছেলে শ্রী পিজুস জানান, আমার মা শীত নিবারন করতে আগুন পোহাতে গিয়ে মারা গেছে।ইউএনও মহোদয় সংবাদ পেয়ে আমাদের পুরো পরিবারের জন্য শীতবস্ত্র পাঠিয়েছেন।গ্রামের বিধবা ও বয়স্কদের মাঝেও বিতরণ করেছেন। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।

উপজেলার শীতার্তদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, উপজেলার কোনো মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না পায় সে জন্য প্রকৃত শীতার্ত মানুষদের খুঁজে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি।শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি।

উত্তরের জনপদে গত কয়েকদিন যাবৎ তীব্র শৈত্য প্রবাহ চলছে।বইছে হিমেল হাওয়া।রাত হলেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।শীতে সবচেয়ে বেশি কস্ট পাচ্ছে বৃদ্ধরা।এই শীতে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা শীতার্তদের পাশে দাঁড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 4 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x