মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আদ্ দ্বীন হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হারেজ মিয়া (৩৫) নিহত হয়েছে।এসময় এ্যাম্বুলেন্সে থাকা দুই যাত্রী আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকার পাওয়ার হাউজ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, চলতি সপ্তাহে মোংলা থেকে সন্তান সম্ভাবা এক নারীকে নিয়ে খুলনার আদ্ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করেন আলতাপ তালুকদার।সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে একটি মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে।অসুস্থ্য ওই নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে সদ্য ভুমিষ্ট মৃত শিশুর লাশ নিয়ে আদ্ দ্বীন হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মোংলা ফিড়ে আসতেছিল আলতাপ।শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বন্দরের শিল্প এলাকা পাওয়ার হাউজ মোড়ে এসে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা একটি গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের পিছন থেকে ধাক্কা দেয় এ্যাম্বুলেন্সটিকে।এতে ঘটনাস্থলেই এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হারেজ মিয়া (৩৫) নিহত হয়।
নিহত ড্রাইভার হারেজ মিয়া যশোর সদরের ভেকুটিয়া এলাকার খন্দকার আমির হোসেন মোল্লার ছেলে।তিনি খুলনার আদ দ্বীন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন এবং খুলনার বৈকালী এলাকায় বসবাস করতেন।
দুর্ঘটনার সময় এ্যাম্বুলেন্সে থাকা দুই যাত্রী আলতাপ হাওলাদার ও তার বোন পপি বেগম আহত হয়।স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে মোংলা বন্দর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আর মৃত শিশুর লাশ পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আরবেজ আলী জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মোংলা বন্দর শিল্প এলাকার ফাইভ রিংস সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সামনে রাখা গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়।এতে অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ড্রাইভার হারেজ মিয়া।এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ২ যাত্রী আহত হন।তাদের উদ্ধার করে বন্দর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আর মরদেহ উদ্ধার করে মোংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে এস আই হাদিউজ্জামান সহ এক দল পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।তারা মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং নিহতের পরিবারে খবর দেয়া হয়েছে।তারা আসার পর ময়না তদন্ত সহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় থানার এ কর্মকর্তা।