মাহমুদুল হাসান জয় ও হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাটিং নৈপুন্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশাল ফরচুনকে হারিয়েছে খুলনার টাইগার্স।
টুর্নামেন্টের ৪২তম ম্যাচে খুলনা ৬ উইকেটে হারিয়েছে বরিশালকে।পঞ্চম উইকেটে ১৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানের জুটি গড়েন জয় ও হাবিবুর।জয় ৪৩ বলে ৬৪ ও হাবিবুর ৯ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন।
এই জয়ের পরও ১২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে বিপিএল শেষ করলো খুলনা।অন্য দিকে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে থেকে প্লে-অফ খেলবে বরিশাল।প্লে-অফে এলিমিনেটর ম্যাচে বরিশালের প্রতিপক্ষ টেবিলের তৃতীয়স্থান পাওয়া রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন বরিশালের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একাদশে থাকলেও টস করতে নামেন মিরাজ।
ওপেনার এনামুল হক কিজয়ের সাথে ইনিংস শুরু করতে নেমে ২টি চারে ৯ বলে ৯ রান তুলে খুলনা স্পিনার নাসুম আহমেদের শিকার হন আউট হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।মাহমুদুল্লাহ ফিরলে উইকেটে আসেন শ্রীলংকার চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা।সপ্তম ওভারে নাসুমের দ্বিতীয় শিকার হন ডি সিলভা।১৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
এরপর উইকেটে এসে দ্রুত রান তুলেন সাকিব।দশম ওভারে স্পিনার নাহিদুল ইসলামের বলে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন সাকিব।তবে ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে সাকিব ও শেষ ডেলিভারিতে বিজয়কে ফেরান বাঁ-হাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।সাকিব ১৪ বলে ২২ এবং এনামুল ২৯ বলে ২৮ রান করেন।
৭৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর উইকেট এসেই রানের গতি বাড়াতে মারমুখি হন দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।পঞ্চম উইকেট জুটিতে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরানের সাথে ৩৭ বলে ৭০ রান তুলেন প্রিটোরিয়াস।১৫ বলে ২১ রান করে সাইফুদ্দিনের প্রথম শিকার হন জাদরান।
ইনিংসের শেষ ওভারে প্রিটোরিয়াসকে বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন।২৯ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন প্রিটোরিয়াস।শেষ ওভারে মিরাজ ও আফগানিস্তানের করিম জানাতকেও শিকার করেন সাইফুদ্দিন।মিরাজ শূন্য ও জানাত ৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ রান করেন।২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান পায় বরিশাল। ম্যাচে ৪ ওভারে ২০ রানে ৪ উইকেট নেন সাইফুদ্দিন।
১৭০ রানের টার্গেটে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা।২ রান করে বরিশালের পেসার প্রিটোরিয়াসের শিকার হন ওপেনার সাব্বির রহমান।দ্বিতীয় উইকেটে ২৭ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান আয়ারল্যান্ডের এন্ডি ব্যালবির্নি ও অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ।
অষ্টম ওভারে হোপকে ১৫ রানে থামিয়ে বরিশালকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন ডি সিলভা।১১তম ওভারে বালবির্নিকে বিদায় দেন পেসার খালেদ।৩৩ বলে ১ বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতেম ৩৭ রান করেন ব্যালবির্নি।
১১ ওভার শেষে ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারায় খুলনা।শেষ ৯ ওভারে ৯৪ রান দরকার পড়ে খুলনার।চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলিকে নিয়ে রানের গতি বাড়ান মাহমুদুল হাসান জয়।১৫ ওভার শেষে দলের ১০৭এ নেন তারা।১৭তম ওভারে ৩৪ বলে এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পুর্ন করেন জয়।একই ওভারে রান আউট হন ১৩ রান করা ইয়াসির।চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৫৫ রান যোগ করেন ইয়াসির-জয়।ইয়াসির যখন ফিরেন তখন জিততে ১৯ বলে ৩৯ রান দরকার পড়ে খুলনার।এরপর দলের রানের গতি ধরে রাখেন জয় ও ছয় নম্বরে নামা হাবিবুর।শেষ ২ ওভারে ২৬ রানের দরকারে এবাদতের করা ১৯তম ওভারে হাবিবুরের দু’টি ছক্কায় ১৭ রান পায় খুলনা।শেষ ওভারে ৯ রানে জয়ের সমীকরন পায় খুলনা।
মিরাজের করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাকিয়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন হাবিব।এর আগে দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন তিনি।২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯ বলে ৩০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন হাবিব।৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৪ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন জয়।