বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহা-সড়কের বারইখালী ও নব্বইরশি সংযোগ ষ্টীল ব্রীজে জিএমএস ঢাকা পরিবহন দূর্ঘটনায় রেলিং ভেঙ্গে ধ্বস।রাত ৩টা থেকে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ রুটে ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহণ বন্ধ, জনভোগান্তি এখন চরমে।যানজট সৃষ্টি হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় বিভিন্ন কর্মস্থলে যাওয়া মানুষগুলোকে পড়তে হয়েছে বিপাকে।সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন তদারকী।বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোপ বিরাজ করছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে ঢাকাগামী জিএমএস যাত্রীশূণ্য পরিবহণটি শরণখোলার উদ্দেশ্যে যাবার পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বারইখালী নব্বইরশি ষ্ট্রীল ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে ঢুকে যায়।এ সময় পরিবহনের সম্মূখ অংশ দুমড়ে মুছড়ে ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে ঢুকে যায়।এতে ব্রীজের পশ্চিম অংশ খানিকটা ঢেবেপড়ে।

এ ঘটনার পর পরই সকাল থেকে শরণখেলা,মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।শরণখোলা থেকে যাত্রীরা চলাচলে পড়ছে বিপাকে, ইজিবাইক, টমটম ও ভ্যানে করে দূর্ঘটনা কবলিত ব্রীজের এক পাশ থেকে ঝুকি নিয়ে পাড় হয়ে ভেঙে-ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের দূর দূরন্তে।দূর্ঘটনা কবলিত এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘ লাইনে পরিবহনগুলোকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে তারা।অসুস্থ রুগী, বয়বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে প্রচন্ড তাপদাহে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এদিকে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাঁচা তরিতরকারীসহ বিভিন্ন মালামাল বহনকারী পরিবহন ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষ করে বিকল্পভাবে মালামাল খালাস করছে।

দূর পাল্লার যাত্রী আসমা আক্তার, নুরজাহান বেগম, এনজিও কর্মকর্তা শওকত চৌধুরী, শিক্ষক মো. রেদওয়ান ইসলাম, শ্রমিক রুস্তুম শেখ, মাহেন্দ্র চালক ছাইদুল মোল্লাসহ দূর্ভোগে পড়া একাধীক যাত্রীরা বলেন, রাত ৩টায় দূর্ঘটনা, ঝুকিপূর্ন ব্রীজে তো দূর্ঘটনা ঘটবে, দেড় বছর ধরে পাশে ব্রীজের ধীরগতিতে কাজ চলছে।দূর্ঘটনার ৭ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে, সেই থেকে যানজট লেগে আছে।এগুলো দেখার যেন কেই নেই।স্থানীয় কয়েকজন যুবকরা যানজট নিরসনের চেষ্টা করছে।দ্রুত দূর্ঘটনা কবলিত পরিবহনটি অপসারন করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার পাশাপাশি নতুন ব্রীজের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবী জানান স্থানীয়রা।

এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম তারেক সুলতান বলেন, বারইখালী ষ্টীল ব্রীজে পরিবহন দূর্ঘটনার বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ভারি রেকার না থাকার কারনে তারা কাজ করতে পারছে না।ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষকে রেকার দিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ী অপসারন করে দ্রুত জন চলাচলের ব্যবস্থার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বাগেরহাট সড়ক ও জনপথের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোরেলগঞ্জে ষ্টীল ব্রীজে দূঘটনায় কবলিত পরিবহনটি ভারী রেকারের মাধ্যমে অপসারনের জন্য ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা হয়েছে।জেলা প্রশাসক নির্দেশনাও দিয়েছেন।তবে ব্রীজের ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টি আপাতত বলা যাচ্ছে না।পরিবহন অপসানের পরে সরেজমিনে দেখে নিরুপন করে সংস্কারের কাজটিও দ্রুত করা হবে বলে জানান তিনি।