সারিয়াকান্দি উপজেলার পৌর এলাকার রেনু বেগম।স্বামী মারা গেছেন ৩০ বছর আগে।সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে।সবার বিয়ে সাদি হয়ে আলাদা।ছেলেও দুই মেয়ে।ছেলে টানাপোড়নের সংসারে নূন আনতে পান্তা ফুরায়।কথা বলার এক ফাঁকে জানালেন কোরবানির ঈদে এলাকার মানুষে দেওয়া গরুর মাংস ছাড়া তার কিনে খাওয়ার সাধ্য নেই।এমনকি পবিত্র রমজান মাসেও খেতে পারেননি এক টুকরো গরুর মাংস।তিনি আজ গরুর মাংস পেয়ে অনেক খুশি।বললেন পেট ভরে দু’এক বেলা ভাত খেতে পারবেন নাতি-নাতনীদের নিয়ে।
পৌর এলাকার রশিদ একসময় ভাঙ্গারী দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।দীর্ঘদিন ধরে শরীরে রোগ বাসা বেঁধেছে।কাজকর্ম করতে পারিনা।তিনবেলা দুমুটো ভাত খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি।বাজারে গিয়ে আমার গরুর মাংস কেনার সাহস হয়নি কখনো।আজ বাবারা আমাকে ডেকে গরুর মাংস দিলেন।পেট ভরে দু’এক বেলা ভাত দিয়ে খেতে পারবো।
সদর ইউনিয়নের পারতিতপড়ল এলাকার জাহানারা (৫০) জানান, মাংস বাজারে অনেকদিন ধরে যাওয়া হয়নি।ঈদে মানুষের দেওয়া মাংস ছাড়া কেনার সামর্থ নাই।আজ মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের দেওয়া গরুর মাংস ঘরে নিয়ে গেলে নাতি-নাতনীদের মুখে হাসি দেখতে পারবো।
শুধু বিধবা রেনু বেগম কিংবা দিনমজুর রশিদ নয়, এমন শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফোঁটালো সারিয়াকান্দি উপজেলার অন্যতম সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার জামিয়া ছিদ্দিকিয়া হাফেজিয়া কওমী মাদ্রাসার মাঠে সংগঠনটির সদস্যরা অর্ধশতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেন গরুর মাংস।
সংগঠনের সভাপতি লিটন মাহমুদ জানান, মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন আত্মপ্রকাশের পর থেকেই সব সময় অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন অর্ধশতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেন গরুর মাংস।
এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি সাজেদুল রহমান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর কবির, কোষাধ্যক্ষ মোঃ পলাশ মিয়া (বাপ্পা), সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্জুরুল ইসলাম মুনজু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম নবা, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মিল্লাত হোসেন (বাবু), প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক পাভেল মিয়াসহ প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।