মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সারিয়াকান্দিতে সহম্রাধিক তৃষ্ণার্তদের শরবত খাওয়ালো ইসলামী দাওয়াহ্ সেন্টার জুয়া খেলে বাগমারায় জিরো থেকে হিরো কে এই ফিরোজ? তীব্র খরায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে ডা. অর্ণা জামান সারিয়াকান্দিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাখাওয়াত হোসেন সজলকে বিজয় করা লক্ষে মতবিনিময়সভা বজ্রপাতে নিহত নাবিল খানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ,এখনো কাঁদছে পরিবার সারিয়াকান্দিতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাবার আদর্শ ধরে মানুষের স্বার্থে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই: সাখাওয়াত হোসেন সজল আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই,মানুষের জন্য কিছু করতে চাই:ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখন মিয়া বাগমারায় কৃষি মেলার উদ্বোধন করলেন এমপি আবুল কালাম আজাদ সারিয়াকান্দিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার সদস্য বাছাই
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জমি দখল, অবৈধ পুকুর ভরাট, পাওনা টাকা আদায়ের নামে অর্থ আত্মসাৎ, মাদক কারবারিদের রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রদান, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেলেও অপরাধ যেনো থামছেই না তাঁর।অবৈধ পুকুর ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলার মাধবপুর এলাকার এক মেম্বার বলেন, আমার পরিচিত একজনের নিকট ১৬ লাখ টাকা পেতাম।সেই বিচার করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।তাঁর কাছে বিচার গেলে মুচলেকার নামে তিনি আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নেন।পরে বিচারও হয়নি আমার টাকাও ফেরত দেয়নি।আমার ১৬ লক্ষ টাকাও ফেরত পাইনি, আবার দুই লক্ষ টাকাও হারিয়েছি।এভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জনৈক মেম্বার।

গোদাগাড়ী স্থানীয় এক ভুক্তভোগী বলেন, গোদাগাড়ী এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে মাসোয়ারা নেন তিনি।মাসোহারা না দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ ভয়ভীতি দেখান তিনি।চেয়ারম্যানের বাসায় ভাড়া থাকেন গোদাগাড়ী সার্কেল এএসপি।এটার ভয়ও তিনি বিভিন্নজনকে দেখায়।

চেয়ারম্যানের রাইট হ্যান্ড খ্যাত গোলাম কাওসার মাসুম সম্প্রতি তেতুলতলা এলাকায় তাঁর নামে পুকুর ভরাট পূর্বক প্লট তৈরি করে বিক্রি করছেন।এছাড়াও উপজেলার ভেজাল জমি ক্রয় ও বিক্রয় করেন উক্ত চক্র।

বিশ্বাস্ত সুত্র নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়মের মাধ্যমেও তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন।প্রকল্পের আওতায় হওয়া কাজগুলোতে নয় ছয় করে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্থ।উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে জনগণের সেবক না হয়ে ভক্ষক হয়েছেন তিনি এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে কথা বললে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা।আমি কাওসারের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে নাই।আমি মাদকের বিরুদ্ধে থাকায় মাদক কারবারিদের আশ্রয়দাতা কিছু প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।পরিষদে দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই।ইউএনও আর চেয়ারম্যানের যৌথ স্বাক্ষরে সব কাজ হয়।আমি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x