রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিক ইউনুস আলী মৃত্যুর ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে শাখা ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন’ এর অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, এর আগে ২০২২ সালের ৩১ মে অন্য আরেকটি নির্মাণাধীন ২০ তলা একাডেমিক ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিক সাগরের মৃত্যু হয়েছিলো।বার বার একই ঘটনা আমাদের জানায় যে এগুলো নিছক কোন দূর্ঘটনা নয়; শ্রমিকের জন্যে নিরাপদ কর্ম পরিবেশের অভাবেই এই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত হচ্ছে।এরজন্য ভবনগুলোর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন’ এর অব্যবস্থাপনাই দায়ী।এছাড়া অতীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতাও এই মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তির পেছনে রয়েছে।
প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়ে তারা লিখেছেন, তারা আরও জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের ছাদ থেকে পড়ে আরেক শ্রমিক আলেক আলীর মত্যু হয়েছিলো।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কৃষক, শ্রমিক, জনসাধারণের অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানেও শ্রমিকের নিরাপত্তার অভাব শিক্ষার্থীদের জন্যে লজ্জাজনক।দুই বছরের কম সময়ে শিক্ষার্থী হিমেল, শ্রমিক আলেক আলী, সাগর ও ইউনুস আলীর মৃত্যু প্রমাণ করে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কতটা উদাসীন।আমরা প্রশাসনের যাবতীয় নিপীড়ন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানাই।
অবিলম্বে প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মাণ শ্রমিক ইউনুস আলী মৃত্যুর ঘটনার যথাযথ তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং নিহতের পরিবারের জন্যে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবী জানান তারা।