বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আটোয়ারীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা,সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান জকিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা অপু গ্রেফতার বাঘায় দুই ছিনতাইকারী সহ গ্রেফতার-৩ গোদাগাাড়ীতে কিশোর গ্যাং নেতা রাব্বি ও তার ২ সহযোগী গ্রেফতার রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ পুজার ছুটিতে ব্যস্ত কুয়াকাটা,৫০ শতাংশ হোটেল অগ্রীম বুকিং শার্শার ঠেঙামারি বিলে জলাবদ্ধতায় হয়না আমন ফসল,হাজার হাজার চাষী নিঃস্ব মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকার দুধর্ষ ডাকাত গ্রেফতার সালথায় পূজা উদযাপন কমিটির সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা সারিয়াকান্দিতে যুবদলের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও মতবিনিময়
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

সানকি (শূন্য থালা) মিছিল করে ঢাকায় বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন

আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্বখাদ্য দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এবং ঋণ ও উন্নয়ন বিষয়ক এশীয় গণআন্দোলনের উদ্যোগে খাদ্য, ক্ষুধা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানির প্রশ্নকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও সানকী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালেহা ইসলাম সান্তনা, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হাওলাদার, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সুলতান আহমেদ বিশ্বাস, শ্রমজীবী আন্দোলনের সভাপতি হারুনার রশিদ, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামিম আক্তার, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, নব্বইর গণআন্দোলন এবং আওয়ামী লীগের নেতা রাজু আহমেদ ও লেবার রিসোর্স সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক শিবলি আনোয়ার সুমন প্রমূখ।

ঋণ ও উন্নয়ন বিষয়ক এশীয় গণ আন্দোলনের সমন্বয়ক লিডি নেকপিল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সংহতি জানিয়ে বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের কারণে পুরো বিশ্ব বড় ধরনের খাদ্য সংকট মোকাবেলা করছে।বহুমুখী সংকট রপ্তানিমুখী শিল্প ও কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত কৃষি খাদ্য ব্যবস্থা সৃষ্ট বিশ্বের ক্ষুধা আরো তীব্র ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছেঅভ্যন্তরীণ খাদ্য চাহিদাকে প্রাধান্য এবং সকলের জন্য পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদান করে এমন টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা তিনি দাবি করেন।

সমাবেশের সভাপতি কমরেড বদরুল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ক্ষুধা মুক্তির যে লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮১ সালে বিশ্ব খাদ্য দিবস শুরু হয়েছিল বিশ্ব আজো সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ প্রতিদিন না খেয়ে থাকে।অপুষ্টিতে ভুগছে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুুষ।এ অপুষ্টির শিকার মানুষের অধিকাংশের অবস্থান এশিয়া অঞ্চলে।বিশ্ব হতে ক্ষুধা ঝেটিয়ে বিদায় দিতে হলে কর্পোরেট কৃষির উপর নির্ভর না করে কৃষক কেন্দ্রিক পরিবেশ—প্রতিবেশ বান্ধব চাষাবাদ ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও কোরোনা সংকটকালে বাংলাদেশের কৃষকদের বিপুল পরিমাণ ফসল উৎপাদনের কৃতিত্বকে স্মরণ করে তিনি বলেন, এটা দু:খজনক যে ঐ কৃষকরাই আজ দুবেলা পেট পুরে খেতে পায় না।তিনি ষাটোর্ধ কৃষকের জন্য এককালীন ভাতা, মাসিক পেনশন ও রেশনিং চালু করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেন।

জলবায়ু সংকটের জন্য দেশের দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলের ফসল উৎপাদন হ্রাস পাওয়াসহ নানারকম দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ।সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ফসলি জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঋতুচক্রের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অতিমাত্রায় শৈত ও অতিমাত্রায় তাপপ্রবাহ, হিমালয়ের জমাট বরফ গলে উজানে হঠাৎ বন্যা এসবই বাংলাদেশের জন্য গভীর শঙ্কার বিষয়।জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতির দায় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর যারা তাদের ভোগবিলাসের কারনে অতিরিক্ত কার্বন উদগিরন করে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়িয়ে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের কারণে দুনিয়ায় বিশুদ্ধ পানিরও বিরাট সংকট দেখা দিয়েছে।পানিই প্রাণ, পানিই খাদ্য জানা সত্বেও প্রতিদিন শিল্প বর্জ্য পানিকে দূষিত করে জনজীবন সংকটাপন্ন করে তুলছে।

বাংলাদেশ বিশ্বের ভুক্তভোগী সম্মুখ সারির দেশগুলোর অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে তার এ যাবৎকাল যত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কাফফারা ধনী দেশগুলো দিতে বাধ্য।এটা তাদের ঐতিহাসিক ও প্রতিবেশগত দায় বলে কমরেড আলম অভিমত ব্যক্ত করেন।

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা ক্ষুধা মুক্তির লড়াইকে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন ক্ষুধার্ত থাকবে এটা মানবাধিকারের সাথে যায় না।ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্তির জন্য সহস্রাব্দ ও স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যের যে প্রত্যয় তা শুধু প্রত্যয়ই থেকে যাচ্ছে।এক্ষেত্রে অগ্রগতি মোটেই হিসেবে যোগ্য নয়।

বক্তব্যে আরো বলেন, মৌলিক খাদ্য যেহেতু কৃষকরা উৎপাদন করে তাই কৃষকদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খাদ্য সংক্রান্ত রাষ্ট্রের সকল পলিসি নির্ধারণ করতে হবে।কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ, বীজ, বিদ্যুৎ, সার, সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ সকলের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করারও আহ্বান জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com