দুই মাস বেতন পাইনি।বাসা ভাড়া দিতে হবে।মালিকরা কোন কারণ ছাড়াই গার্মেন্টস বন্ধ করে দিয়েছে বেতন ভাতা কিছু দেয় নাই।আমরা কি করব।বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছি।পুলিশ বলছে মন্ত্রণালয় যাইতে, গেছি কিন্তু তারা আমাদের কোন কথা শুনে না ওরা শুনে মালিকদের কথা।আসলে শ্রম কল্যাণ শ্রমিকদের জন্য না, মালিকদের জন্য।
চোখের কোনে অশ্রু নিয়ে কথাগুলো বলছিলো রাজধানী মিরপুর শেওড়াপাড়ার জে কে গার্মেন্টস লিমিটেড এর কর্মী লিপি আক্তার।শুধু লিপি আক্তার নয় এমন আজাহারী ওই গার্মেন্টসের প্রায় ৮০০ শ্রমিকের।
দুই মাসের বেতন ও বিভিন্ন সময়ের ভাতা না দিয়ে কোন কারণ ছাড়াই গার্মেন্টস টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন শ্রমিকরা।গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে সেখানে কর্মরত প্রায় ৮০০ শ্রমিক।
একদিকে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা অন্য দিকে বাসা ভাড়া ও সন্তানদের স্কুলের ফি নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন জেকে গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা।বার বার মালিকের কাছে অনুরোধ জানিয়েও কোন ভরসা না পেয়ে অবশেষে গত দুইদিন ধরে গার্মেন্টসের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে জেকে গার্মেন্টস কর্মীদের বিক্ষোভে দেখা যায়, আগারগাঁও থেকে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধ ছিল রাস্তাটি।পরে পুলিশের অনুরোধে রাস্তা থেকে সরে যায় শ্রমিকরা।তবে গার্মেন্টস চালুসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মরতদের বেতন ও দীর্ঘদিন কাজের সার্ভিস ভাতা প্রদানের দাবি জানান শ্রমিকরা।
জেকে গার্মেন্টসের শ্রমিক শ্যামলী আক্তার।দুই সন্তান পড়াশুনা চালান গার্মেন্টসের কাজের বেতন দিয়ে।তবে বেতন না পাওয়ায় সন্তানের স্কুলের ফি দিতে পারছেন না তিনি।
শামলি জানান, আমরা এখানে অসহায়।আগের দিন কাজ করে গেছি।পরেরদিন এসে দেখি গার্মেন্টস সিলগালা।আমার ছেলে মেয়ের স্কুলের ফি বাসা ভাড়া দিতে পাইনি।আমরা কি করব কি ভাবে চলব মালিকের কোন অনিয়ম এয়াতা আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা টা চাই।আর কিছু চাইনা।
এ বিষয়ে জানতে জেকে গার্মেন্টস লিমিটেডের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
তবে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ মহসিন জানান, পরিস্থিতি শান্ত করে অবরোধ থাকা রাস্তায় যান চলাচল অব্যাহত রাখা হয়েছে।মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বসে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।