কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের নিজ গ্রামে পল্লীকবি ও চারণকবি নামে খ্যাত রাধাপদ রায়, বয়স আনুমানিক ৮০ বছর, তিনি নির্মম হামলার শিকার হয়েছেন।গুরুতর আহত হয়ে তিনি এখন নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটে ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে।গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি যে, প্রতিবেশি জনৈক রফিকুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবক পূর্বশত্রুতাবশত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।কি কারণে হামলা করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।তবে প্রায় ছয় মাস আগে রফিকুলের বড় ভাইয়ের সঙ্গে উক্ত গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রাধাপদ রায়ের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছিল, সেই কারণে হয়তোবা হামলার শিকার হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের নামে নাগেশ্বরী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।তদন্তপূর্বক দোষীদের বিচার দাবি করছি এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গতো দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে একজন বৃদ্ধ পিতা ৮০ বছর বয়সে এসে বৃদ্ধ কবি তার নাতির বয়সের ব্যক্তির কাছ থেকে এই নির্যাতন কতটা কষ্টের সবাই বিবেচনা করবেন এবং কবির এমন কি গুরুতর অপরাধ থাকতে পারে যাতে তাকে এভাবে বেধড়ক পেটানো যায়? আমি একজন চিত্রশিল্পী ও লেখালেখির সাধনায় নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছি।কিন্তু এই যদি হয় সোনার বাংলার রুপ চিত্র তবে আমাদের সাধনা ব্যর্থ হবে শিল্পী, লেখক,কবি, গীতিকার দেশে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখবেনা গান, কবিতা।আমাদের দেশে গুনী মানুষের অভাব দেখা দিবে।
আইনের উপরে আমাদের যথেষ্ট আস্থা আছে, উক্ত বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন সুস্থ তদন্তের জন্য ঘোষণা দেন এই দাবি জানাচ্ছি তারি সাথে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করছি অপরাধী রফিকুল ইসলামকে আইনের আওতায় এনে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানাচ্ছি।
আমি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস খুলনা আর্ট একাডেমির পক্ষ থেকে এর চরম নিন্দা জানাই।এই ঘটনার বিচার হলে ভবিষ্যতে আর কোনো পিতার চোখে জল পড়বেনা।তাই সবাই এর প্রতিবাদ জানাবেন।