বগুড়ায় বাংলাদেশ প্রতিদিন বগুড়ার সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রহমান টুলু’র কথোপকথন এডিটিং ও বিকৃত করে অপপ্রচারের ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।
সাংবাদিক টুলুর কথোপকথন এডিটিং ও বিকৃত করে অপপ্রচার ঘটনায় শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানায় এ ডায়েরী করেন তিনি।
জিডিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ করেন যে, তিনি বিগত ১৪ বছর যাবৎ দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।গত ১৪ আগস্ট সোনাতলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বাংলা টেলিভিশন ও যায়যায়দিন পত্রিকার বগুড়া প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন লিখনের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন।তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ের ১৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের কথোপকথন এডিটিং ও বিকৃত করে ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডে রুপান্তর করেন লিখন।
উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে ২২ আগস্ট সেই অডিও রেকর্ডটি বিভিন্ন জনের মেসেঞ্জার এবং হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে ‘সাংবাদিক টুলুর ফোনালাপ ফাঁস’ শিরোনামে প্রচার করে।সেখানে বহুল প্রচারিত দৈনিক করতোয়া পত্রিকা নিয়ে কিছু কথাকে বিকৃত করে প্রচার করে।এসব বিকৃত কথাবার্তার সাথে প্রকৃত কথোপকথনের কোন মিল নেই।আগের ও পিছনের কথাগুলো বাদ দিয়ে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই রেকর্ডটি প্রচার করে দৈনিক করতোয়া পরিবারের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।একইভাবে সামাজিক ও মানসিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরীতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, গত ২৩ আগস্ট থেকে ‘শাজাহানপুর প্রতিদিন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আমার গলার এই বিকৃত অডিও কল রেকর্ডটি প্রচার করা হচ্ছে।সেখানে অডিও প্রচারের পাশাপাশি আমাকে নিয়ে একথা মিথ্যা, বানোয়াট লেখা প্রকাশ করে মানহানী করা হয়েছে।এমন এডিটিং অডিও বিকৃত করে প্রকাশ করার ফলে আমি সব দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, এ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী হয়েছে।প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।