দুমকিতে ছেলের অপকর্মে লজ্জিত মায়ের আত্মহত্যা!

- আপডেট সময় : ১০:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ ৮০ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর দুমকিতে পালিয়ে বিয়ে করায় অপহরণ মামলায় ছেলে ও অন্তসত্ত্বা পুত্রবধুকে তুলে নেয়ার ৪৮ঘন্টা ব্যবধানে মা হনুফা বেগম (৪৫) কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া চরগরবদি গ্রামের মজিবর মুন্সী ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে জাকারিয়া মুন্সী একই এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও শাহনাজ বেগম দম্পতির কন্যা জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নিয়ে পালিয়ে ৩মাস আত্মগোপনে থেকে পরিবারের অমতে বিয়ে করে।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির হোসেন জাকারিয়া মুন্সীসহ তার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়েরসহ দফায় দফায় হামলা নির্যাতন চালায়।
গত মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরগরবদি গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জাকারিয়াকে গ্রেফতার ও জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে উদ্ধার করে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেয়।এতে মজিবর মুন্সির স্ত্রী হনুফা বেগম চরম হতাশাগ্রস্থ ও অসহায় হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কীটনাশক পান করে আত্মহননের চেষ্টা চালায়।নির্জন বসতঘরে বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে হনুফা বেগমের মৃত্যু হয়।
মৃত হনুফা বেগমে ভাসুর মো: আবুল মুন্সী বলেন, পরিবারের অমতে ছেলের পালিয়ে বিয়ের ঘটনায় কনের বাবা জাকির মাষ্টার পরিবারের হামলা-মামলা ও পুলিশি হয়রানীতে অতিষ্ঠ হয়ে তার ছোট ভাই মজিবর মুন্সীর স্ত্রী আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছে।এ অকাল মৃত্যুর জন্য জাকির মাষ্টার ও তার পরিবারকে দায়ী করেছেন তিনি।একই সাথে তাদের অন্তসত্ত্বা নববধু জুঁইকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, এটি অত্যন্ত দু:খজনক একটি অনাকাঙ্খিত অকাল মৃত্যু।ছেলে মেয়ের অপকর্মের খেসারত দিতে হলো।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।