শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

সরকারের যা করা উচিত

সরকার হলো জনগণের জিম্মাদার বা অভিভাবক।সেক্ষেত্রে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও দেশ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন।সরকার শুধুমাত্র ব্যবসায়ী-শিল্পপতি ও আমলাদের সরকার নন।বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের, সকল জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে থাকেন।আদর্শগতভাবে শাসক হিসেবে নয় বরং সেবক হিসেবে কাজ করা উচিত।

দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হলে তার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সরকারের দায়িত্ব।সরকারি বা বেসরকারি সকল সেক্টরে তদারকি প্রয়োজন।যুগের প্রভাবে যেকোন দেশে উন্নয়ন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। উন্নয়ন বলতে অবকাঠামো এবং ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের ব্যক্তিগত উন্নয়নকে বোঝায় না।

একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়ন মানে সে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করাকেও বোঝায়।একটি দেশকে বাঁধাগ্রস্থ, ঋণগ্রস্থ এবং দেউলিয়া করতে পূঁজিবাদ মারাত্বক ভাবে দায়ী।তাই পূঁজিবাদীরা যাতে সরষের ভূতের মতো রাজনীতিক ছত্রছায়ায় জেঁকে না বসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মূলত দেশের সরকার যখন নিজস্ব ক্ষমতা ও দেশ চালানোর মতো যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে তখন ব্যবসায়ী ও আমলাদের ওপর নির্ভর করেই ক্ষমতা ধরে রাখতে হয়।যার ফলে ট্যাক্স বা কর ফাঁকি দিয়ে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে নামমাত্র কর) বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকগণ ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালান।যার দরুণ পূঁজিবাদী সাম্রাজ্য গড়ে উঠতেছে।সম্পদশালী বা ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, অপরদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরীবরা বাস্তবতার যাতাকলে পিষ্ট হয়ে দূর্বিষহ জীবন-জীবিকা নিয়ে কোনরকম বেঁচে আছে।

জনগণের প্রতি বেখবর থেকে শিল্প মালিকদের প্রচ্ছন্ন নিয়ন্ত্রণে যাওয়া সরকার কখনো জনগনের সরকার হতে পারে না।

শ্রম আইনের লিপিবদ্ধ আইনগুলো বাস্তবে কতটুকু কার্যকর হয় সেটার দিকে সরকারকে মনযোগ দিতে হবে।দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে জীবনধারণের সুবিধাজনক বিষয় চিন্তা করে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা জরুরী।

সরকার যদি প্রকৃত অর্থে জনগণের অভিভাবক হিসেবে চিন্তা করেন তাহলে আপামর জনগণের দেকভালের দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়।

দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে স্বচ্ছ আইন করে সরকারকেই পূঁজিবাদ বা ক্যাপিটালিজম নিরসনে শতভাগ ভূমিকা রাখতে হবে।

ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী ভাবে থেকে যাওয়ার নীল নকশায় রাজনৈতিক বিভেদ ও অস্থিরতা তৈরী না করে মেহনতী জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পবিত্র কর্তব্য পালন করা উচিত।

ওমায়ের আহমেদ শাওন
(লেখক, কলামিষ্ট ও গণমাধ্যম বিশ্লেষক)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x