রাজশাহীর বাঘার পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশু নিখোঁজের ২৩ ঘন্টা পর এক শিশুর ভাসমান মরদেহ (লাশ) উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় দিকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া মানিকেরচর এলাকার ১০ কিলোমিটার পূর্বদিকে পদ্মা নদীর লক্ষীনগর এলাকায় থেকে জান্নাত নামের এক শিশুর ভাসমান মরদেহ (লাশ) উদ্ধার করেন আত্নীয়স্বজনরা।
শিশু ঝিলিক খাতুনকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে নিখোঁজের খবর পেয়ে (১৪ এপ্রিল) রবিবার রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারেনি শিশু দুটিকে।
জানা যায়, রোববার (১৪ এপ্রিল) বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া মানিকের চর (মসজিদের ঘাটে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মায় গোসলে নেমে দুই শিশু নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজরা হলেন—কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলা বাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে জান্নাতী খাতুন (৯) এবং চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে ঝিলিক খাতুন (১০)।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, খবর পেয়ে সেখানে ডুবুরি দল ৭ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ শিশু দুটির সন্ধান না মেলায় পরিবারের অনুমতিক্রমে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করেন।পরে পদ্মা নদীর ১০ কিলোমিটার দূরে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ লক্ষীনগর এলাকায় শিশু জান্নাতী খাতুনের ভেসে উঠলে লাশ উদ্ধার করা হয়।উদ্ধার হয়নি শিশু ঝিলিক খাতুন।
মানিকের চরের পলাশ হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই আব্দুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের সাথে একই এলাকার নূর মোহাম্মাদের ছেলে স্বপনের সাথে বিয়ে অনুষ্ঠানে ঈদের পরেরদিন স্বপরিবারে দাওয়াতে আসে তারা।অনুষ্টান শেষে চলে যাওয়ার প্রাককালে পদ্মা নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ তারা।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়েনের চৌমাদিয়া চরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রহমান জানান, তারা আত্নীয় বিয়ে অনুষ্ঠানে এসে পদ্মায় গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল।ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা এসে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারেনি।সকালে চররাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর এলাকায় লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
চারঘাট নৌ পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়েছি।এ ঘটনায় নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।