কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বালিকা আবাসিক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাহবুবের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি নেওয়াশী ইউনিয়নের গোবদ্ধনেরকুটি ফকিরটারী হাজী পাড়া দারুল ফালাহ বালিকা কাওমি মাদ্রাসায় গত ৮ নভেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
পরে যৌন হয়রানির স্বীকার হওয়া শিক্ষার্থী ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।শিক্ষার্থীর বাবা মেয়েকে মাদ্রাসায় রেখে আসতে চাইলে বিষয়টি জানতে পারে বাবা।
এরই প্রেক্ষিতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পরে গতকাল সকালে ভুক্তভোগীর মা ও বাবা মাদ্রাসায় এসে অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে ধরলে স্থানীয়রা বাধা দেয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মুকুল ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিচারের আশ্বাস দেয়।
গতকাল রবিবার রাতে বিষয়টি মীমাংসার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারণে বসা হয় নি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবার সাথে কথা বললে, তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ আমার মেয়ে ও পরিবারের ইজ্জত শেষ করেছে।আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ কি হবে।গতকাল বিচার হওয়ার কথা, কি জন্য হলো না তা জানি না।আমি বিচারের জন্য মহতদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছি।
শিক্ষার্থীর মা বলেন আমরা ন্যয় বিচার চাই।
স্থানীয় মন্টু মিয়া বলেন, এলাকার ও মাদ্রাসার মান সম্মান নষ্ট করেছে।উচিত বিচার হওয়া প্রয়োজন।
ইসমাইল হোসেন বলেন, মেয়েটি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী।শুনেছি এরকম খারাপ ঘটনা ঘটেছে।
ওই শিক্ষকের ইতিপূর্বে নাগেশ্বরী কামারপাড়া ভারা বাসায় অপকর্মের রেকর্ড আছে বলে জানায় বলদিটার লোকজন।
জানাগেছে, ফকিরটারী গ্রামে একটি ভারা ঘরে আবাসিক মহিলা মাদ্রাসা করে চালায় শিক্ষক মাহবুব ও তার স্ত্রী।ঘটনার দিন তার স্ত্রী মাদ্রাসায় ছিলেন না।
এলাকাবাসী সংবাদ পেয়ে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে চাইলে, ওই শিক্ষকে প্রত্যাহারের আশ্বাস পেয়ে রেখে আসে।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী শিক্ষক মাহবুবের সাথে যোগাযোগ করলে পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান জানায় কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।