উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক, মতানৈক্যসহ ঐক্যনীতির প্রবক্তা হযরত মাওলানা আযীযুর রহমান কায়েদ সাহেব হুজুরের প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠির নেছারাবাদ দরবার শরীফে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব ও ওয়াজ-মাহফিলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আছর নামাজ শেষে ঝালকাঠি এনএস (নেছারাবাদ) কামিল মাদরাসা ময়দানে স্থানীয় আলেম-ওলামাদের বয়ানে মাহফিল শুরু হলেও ২২ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজ শেষে আমীরুল মুছলিহীন মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের আনুষ্ঠানিকভাবে এ মাহফিল শুরু হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজ শেষে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিলের পরিসমাপ্তি ঘটবে।মাহফিল সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
নেছারাবাদ দরবার শরীফ ঘুরে দেখা যায়, মাহফিলের প্যান্ডেল করার কাজ শেষ পর্যায়ে।মাহফিল সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে শত শত স্বেচ্ছাসেবী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।মাহফিলে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আগত মেহমানদের থাকা ও খাওয়ারও ব্যবস্থার আয়োজন করা হবে।
নেছারাবাদ ইসলামী কমপ্লেক্সের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাহবুবুর রহমান জানান, ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুছল্লি ও ভক্তগণ আসতে শুরু করবেন।আছর নামাজ শেষে স্থানীয় আলেম-ওলামাগণ আলোচনা করবেন।রাত ১১টায় এ আলোচনা শেষ হবে।
২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ফজরের নামাজ শেষে আমীরুল মুছলিহীন, মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুরের একমাত্র ছাহেবজাদা মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
দুইদিন ব্যাপী এ মাহফিলে দেশ বরণ্যে আলেমগন ওয়াজ ও নসিহত করবেন।২৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শেষ হবে।দুই দিনব্যাপী মাহফিলে তিনি ৫ পর্বে বয়ান করা হবে। এছাড়াও শুক্রবার ফজরবাদ সমাপনী বয়ান শেষে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন তিনি।
ঝালকাঠি এনএস (নেছারাবাদ) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে মাহফিলের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।নির্মাণ করা হয়েছে ৫টি প্যান্ডেল।আগত মেহমানদের সেবায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।নেছারাবাদে প্রবেশের সড়কটি মাহফিল চলাকালে যানবাহনমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দূর-দূরান্ত থেকে আগত মেহমানদের গাড়িবহর পার্কিংয়ের জন্য বিশাল এরিয়ায় ব্যবস্থা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
মাহফিলকে ঘিরে জেলাজুড়ে সাজসাজ রব বিরাজ করতে শুরু করেছে।মাহফিলে উপমহাদেশের বুযুর্গ-ওলী, দার্শনিক ও মুজাদ্দেদ হযরত কায়েদ সাহেব হুজুরের প্রতিষ্ঠিত দরবার শরীফে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ-মুহাক্কেক ওলামায়ে কেরামগণ বয়ান করবেন।