২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরপারে চলে যান বাংলাদেশের সিনেমার কিংবদন্তি নায়িকা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে খ্যাত সারাহ বেগম কবরী।
তার সঙ্গে তার পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেরই সুযোগ হয়েছে একই সিনেমাতে অভিনয় করার।রাজনৈতিক কারণে কবরীর সঙ্গে বেশ সখ্য ছিল ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাহনূরের।কবরী ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’র সেক্রেটারি আর শাহনূর চলচ্চিত্র বিষয়ক সম্পাদক।যে কারণে ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’ আয়োজিত প্রায় সবগুলো অনুষ্ঠানেরই কবরীর সঙ্গে নিয়মিত দেখা হতো শাহনূরের।
কবরী’র প্রয়াণে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন শাহনূর।শাহনূর বলেন, ‘এটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয় আমার ভীষণ প্রিয় কবরী আপা আমাদের মাঝে নেই।প্রিয় কবরী আপাকে তো আর দেখতে পাই না।এটা যে কত কষ্টের সত্যিই ভাষায় প্রকাশের নয়।তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন।আমিও তাকে ভীষণ শ্রদ্ধা করতাম।কিন্তু সেই মানুষটি আর নেই।’
শাহনূর আরও বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি, কবরী আপাকে একজন নির্মাতা হিসেবে ভেবে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ‘ফাঁসির আদেশ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা যাত্রা শুরু করেন শাহনূর।কিন্তু, চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি।২০০০ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘জিদ্দি সন্তান’ মুক্তি পায়।যেটি ছিল তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র।চলচ্চিত্রটিতে তিনি রুবেলের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।
এরপর ২০০৩ সালে তিনি ‘সাহসী মানুষ চাই’ ও ‘কারাগার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।২০০৫ সালে তিনি ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল।
শাহনূর ছোটবেলা থেকে ছড়া, গান, নাচের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।বড়পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি প্রায় ৪শ’ নাটক, ধারাবাহিক নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন প্রিয় এই অভিনেত্রী।এখন পর্যন্ত শাহনূরের ৮০টি ছবি মুক্তি পেয়েছে এবং কয়েকটি ছবির কাজ চলছে।
এছাড়া অভিনেতা মান্না, শাকিব খান, রিয়াজ সহ অনেক জনপ্রিয় নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি।শাহনূর বর্তমানে বিএফডিসির সাংগঠনিক সম্পাদক।