মানুষকবিতা
শ্যামল কুমার সরকার
সৃষ্টির আদিতে এক শব্দ ছিল জেনো,
ছন্দিত শব্দই বিধাতার সে-বিমূর্ত কায়া;
মানুষেরা কবি নন, কবিতার একধারা শুধু
বিধাতাই অদ্বিতীয় কবি প্রকৃতি-পৃষ্ঠায়,
নিঃশ্বাসের মাত্রা তাই জীবনের কাব্য…
জলের তরঙ্গে লেখা মানুষকবিতা,
পিতার কলমে যা-ই প্রাণপূর্ণ পদ্য;
কবিতাকীর্তন মানে বিধাতার গীত,
ছন্দহীন জীবন তো মাত্রাহীন কাব্য;
স্রষ্টার গ্রন্থ যে তাই ছন্দিত প্রকাশ-
মানুষের থেকে বড়ো ধর্মকাব্যে ধিক্!
কবি-পরিচিতি:
কবি শ্যামলকুমার সরকার।
জন্ম: ১৯৯৭ সালের ১০ই মে, মাদারীপুর জেলার চলবল গ্রামে।যখন তিনি নবম শ্রেণিতে পড়তেন, প্রখ্যাত কবি দুলাল সরকার (জসীমউদ্দিন পদকপ্রাপ্ত) বলেছিলেন, ‘ছেলেটি বড় হয়ে নিশ্চয়ই চারণ কবি হবে।’
কবি একটি খড়ের চালাঘরেই তার শৈশব ও কৈশোর পার করেছেন।পিতা সতীশচন্দ্র সরকার ও মাতা শ্রীমতি কাঞ্চন দেবী দুজনেই সকলের কাছে অকৃত্রিম সহজ মানুষ।
মানবিক সমুত্থান শ্যামল-মানসের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। রচনায় মানুষের অস্তিত্ব আর সমৃদ্ধির চেতনা উন্মোচনে তিনি প্রয়াসী হয়েছেন।প্রকৃতির স্নিগ্ধ রূপ, সমাজে অবহেলিত মানুষের জীবনকথা আর শিশুমনের নীরব চাওয়া- সুন্দর ভাষায় তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘জাগৃতির কবিতা’ (২০২২)।সম্প্রতি ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ৯ই জানুয়ারি তার একাধিক কবিতা রুশ ভাষায় অনূদিত হয়; অনুবাদ করেন রহিম করিম করিমভ (কিরগিজস্তান)। বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা ও ইরাকের বিভিন্ন দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় তিনি অন্যতম সাক্ষর।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দে, রুশ ভাষায় ‘World Poetry’ নামক বিশ্বনন্দিত যে-বইটিতে সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৮জন গুণী কবি ও সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে, কবি শ্যামলকুমার সরকার তাঁদেরই একজন।২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে জানুয়ারি ইরাকের অন্যতম জাতীয় সংবাদপত্র ‘আল শারক’-এ কবির একাধিক কবিতা ও জীবনী- ছবিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।শ্যামল বাংলাদেশের এক তরুণ প্রতিভা।