বগুড়া সদরে মোবাইল ফোন চার্জে থেকে নিয়ে গেম খেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে নাতীকে জবাই করে হত্যা।নিহত শিশুর নাম বন্ধন (৪)।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের শশীবদনী হিন্দুপাড়া গ্রামে ৪ দিন ব্যাপী হরিবাসর অনুষ্ঠিত হয়।এ হরিবাসরে ভাগ্নি শ্রীমতি কাকলিকে দাওয়াত করেন ঘাতক মামা শুকুমার দাস (৩৫)।বুধবার বগুড়া সদরের পীরগাছা বথুয়াবাড়ী শ্বশুর বাড়ী থেকে কাকলি আদরের (৪) বছরের ফুটফুটে শিশু বন্ধনকে নিয়ে হরিবাসরের দাওয়াত খেতে মামা সুকুমারের বাড়িতে আসেন।বৃহস্পতিবার কাকলি দাওয়াত খেয়ে ছেলে স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে ঘাতক সুকুমার রায় বাড়ীতে তার এ্যান্ডডুয়েট মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে গরুর ঘাস কাটতে যায়।এসময় ছোট্র শিশু বন্ধন ও পাশের বাড়ীর আরেকটি শিশু ফোনটি চার্জ থেকে খুলে গেম খেলছিল।সকাল সাড়ে ১০টায় সুকুমার ঘাস কেটে বাড়ী ফিরে দেখেন তার রাখা মোত মোবাইল ফোনটি সেখানে নেই।পরে অন্য ঘরে গিয়ে দেখে ফোনটি তার নাতী বন্ধনের হাতে।এসময় ঘাতক সুকুমার অগ্নিশর্মা হয়ে হাতে থাকা কাস্তে (কাঁচি) দিয়ে তার গলায় কোপ দিলে অবুঝ শিশু মাটিতে লুটিয়ে দাপাদাপি করে।এসময় পাশে থাকা আরেক শিশু এ দৃশ্য দেখে বাহিরে চিৎকার করে।চিৎকার শুনে শিশু বন্ধনের মা শ্রীমতি কাকলি এসে দেখেন তার ছেলের রক্তাক্ত নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে।পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘাতক সুকুমার শিশু বন্ধনকে হত্যার পর ঘরের ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে আত্মগোপন করেন।এসময় হাজারো উত্তেজিত জনতা দরজা ধাক্কাধাক্কি করেও কোন সাড়াশব্দ পায় না।একপর্যায়ে এলাকাবাসী বগুড়া সদর থানাকে অবগত করেন।এসময় চারিদিকে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।অনেকেই মনে করেন সুকুমার ঘরে আত্মহত্যা করেছে।আবার অনেকেই মনে করে দরজায় কড়া নাড়লে হয় তো হাতে ধারালো অস্ত্র আছে আঘাত করতে পারে।
পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ঘাতক সুকুমারকে আটক করেন, সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান মিজান (এএসআই) ডন কংকন বর্মাসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।