রমজান শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগে এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের আমেজ।আর এই আমেজে শসার বাজারে নেমেছে ধস।ময়মনসিংহের ফুলপুরে চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমায় হাসি নেই শসা চাষিদের মুখে।
কিছুদিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন পাইকাররা তা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি না।
বিক্রির আশায় ভ্যানযোগে কাঁচা বাজার গুলোতে নিয়ে যাওয়ার পর, ভ্যানভাড়া দেওয়ার মতো টাকা দিয়েও ক্রয় করছে না পাইকার আর ব্যাপারীরা।
পাইকারি বাজারে মাত্র ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি শসা।শসার দাম হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ আর লোকসানের মুখে পড়েছেন শত শত কৃষক।পচনশীল পণ্য হওয়ার কারণে মজুদ করার সুযোগ না থাকায় পানির দরে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ নিয়ে চরম হতাশ শসা চাষীরা।উপজেলার শসার হাট বলে খ্যাত বওলা, বালিয়া, ফুলপুরের দিও মোড় সহ সর্বত্রই কৃষকের শসার বাজার চরম মন্দা।
কৃষকরা বলছেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কারণে ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।শসার দাম কমাতে কোনও চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে কি না,সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি তুলছেন তারা।
বওলায় পাইকারের কাছে শষা বিক্রি করতে আসা আগিয়া ইউনিয়নের কৃষক রতন মিয়া জানান, লাভের আশায় ৪০ শতাংশ জমিতে শষা চাষ করেছিলাম খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা, লাভ তো দুরের কথা শষা বিক্রি করে এখন ভ্যানগাড়ী ভাড়াই হয় না,
বওলা বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী রতন ভান্ডারী জানান, বাজারে যেমন চাহিদা রয়েছে সে হিসেবে তাঁরা শসা কিনছেন।এতে কৃষকদের লোকসান হলেও করার কিছুই নেই বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, ফুলপুরে এ বছর শসার বাম্পার ফলন হয়েছে।ফলন ভাল হওয়ায় হাট-বাজারে আমদানিও বেশি।তাই দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে।