নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মাঠে মাঠে বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে।বোরো ধানের সোনালী শীষে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।পাকা ধান ঘরে উঠাতে খোলান প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজার হাজার কৃষক।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।ধান নির্ভরশীল এলাকা হিসেবে আত্রাইয়ের প্রধান আবাদই বোরো ধান।বিশেষ করে উপজেলার মানিয়ারী, বিশা, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ও পাঁচুপুর ইউনিয়ন বোরো ধানের জন্য খ্যাত।এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়েনে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে।
এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।ধান বোপনের শুরু থেকেই অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবারের বোরো ধান মাঠে মাঠে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে।বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান পাকতেও শুরু করেছে।অধিকাংশ এলাকার মাঠ জুড়ে সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বোরো ধানের শীষ।আর এ সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
উপজেলার ভোঁপাড়া গ্রামের আব্দুল মোত্তালিব, চৌথল গ্রামের আবু বক্কর, নওদুলী গ্রামের আলহাজ শফির উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকার প্রধান আবাদই বোরো ধান।বোরো ধানের মধ্যে জিরাসাইল ধানের আবাদ আমাদের এ এলাকাতে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে করা হয়েছে।কিছু কিছু জমিতে নতুন অন্য জাতের ধানের চাষও করা হয়েছে।শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের শীষগুলো দর্শনীয় হয়ে উঠেছে।প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবারে বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদি।কোন ধরণের দুর্যোগে যেন আমাদের এ আবাদ নষ্ট না হয় এ জন্য আমরা সব সময় আলাহ-বিল্লাহ করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, বোরো চাষে কৃষকরা যাতে প্রতারিত না হন এ জন্য শুরু থেকেই আমরা মাঠ পর্যায় তদারকি করেছি।বিশেষ করে বীজ, সার ও সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।এ ছাড়াও অল্প খরচে অধিক ফলনের জন্য আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি।বিশেষ করে বোরো ধান বোপনের শুরু থেকেই আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন।এ জন্য এবারে উপজেলা জুড়ে বোরো ধানের অবস্থান খুবই ভাল।