লাখাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগ,মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

- আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আলী নুরের বিরুদ্ধে বাকপ্রতিন্ধিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধর্মপুর গ্রামের মৃত স্বামী আবু মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম গত ৩ জানুয়ারী হবিগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বাকপ্রতিবন্ধি ঝর্না আক্তার কে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীনীর পাশের বাড়ীর ধর্মপুর গ্রামের জিলু হোসেনের ছেলে আলী নুর বাদীর অনুপস্থিতির সুযোগে বিগত ১৩ জুন বাদীর বসতঘরে প্রবেশ করে ভিকটিম ঝর্ণা আক্তারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং আরো একাধিকবার লম্পট আলী নুর ভিকটিম ঝর্ণা কে ধর্ষণ করে।এক পর্যায়ে ভিকটিম ঝর্ণা আক্তার গর্ভবতী হলে বাদীর কাছে ভিকটিমের শারীরিক গঠন চোখের নজরে আসলে বাদী আম্বিয়া বেগম ভিক্টিমকে ইশারায় জিজ্ঞেস করলে ভিক্টিম ঝর্ণা আক্তার বাদীকে নিয়ে লম্পট আলী নুরের বাড়ীতে নিয়ে আলী নুরকে দেখিয়ে বলে যে সে আমার সাথে কু-কর্ম করেছে।
এ বিষয়ে এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধা করার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এ ঘটনায় আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ০২/২৩ ইং।মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি হবিগঞ্জ পিবিআই কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মোক্তাদির হোসেন পিপিএম সরেজেমিনে তদন্ত করে স্থানীয় ও মানিত স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এ ব্যপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান আমি সরেজিমিনে তদন্ত করেছি এবং ভিক্টিমের মেডিকেল রিপোর্ট পাই নাই রিপোর্ট পেলে এবং ভিক্টিমের গর্ভের সন্তান প্রসবের পর ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসলেই আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ধর্মপুর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলী রহমান কে জিজ্ঞাসা করেলে তিনি জানান ঝর্ণা আক্তারের ধর্ষণের ঘটনা আমি শুনেছি এবং গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরো জানান মামলা তুলে নেয়ার জন্য লম্পট আলী নুর ও তার পরিবার বাদীকে হুমকি দিতেছে মামলা তুলে আনার জন্য।
এ ব্যপারে বাদী আম্বিয়া বেগম জানান আমি আমার মেয়ের ধর্ষনের ঘটনায় মামলা করে আমি এখন আমার জীবন নিয়ে সংকিত অবস্থায় আছি।আসামী পক্ষ ধনে জনে বলিয়ান বিধায় আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি।
বাকপ্রতিবন্ধী ঝর্ণা আক্তার নিয়মিত ভাবে সরকারী ভাতা পেয়ে আসছেন।