রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীতে মঞ্চায়িত হলো রবীন্দ্র থিয়েটারের “আপদ” সংবাদ প্রকাশের জেরে সাইবার আইনে মামলা,প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন সারিয়াকান্দিতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-২ বাঘায় মোটরসাইকেলে ফেন্সিডিল বহনকালে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ১ বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল: ৩ ভাগে বিভক্ত আ.লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন সামিউল ইসলাম সামি জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ-বি-১৯০২ (সিবিএ) বগুড়া জেলা কমিটি অনুমোদন সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ বিজয়ী হলেন যারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয়ী লিখন মিয়া রাজশাহীতে কবরস্থান নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

দেশে-বিদেশে মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবসময় দেশে ও বিদেশে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের সদর দফতরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শুধু দেশেই জনগণের পাশে দাঁডায়ই না, অধিকন্তু বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও কাজ করে।

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের মানবিক সদিচ্ছার কারণে, তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সম্মান পায়।আমি খুব গর্ববোধ করি, যখন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা তাদের দেশে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।’

প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গার্ডগুলোর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে তিনি পিজিআরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন।তাদের কাজ, দায়িত্ব ও নিষ্ঠা দেখে তিনি মুগ্ধ।

তিনি আরো বলেন, তিনি জানেন যে রেজিমেন্টের সদস্যরা সর্বদা পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে।

তিনি আরো বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিসহ সকল প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবেলা করে দায়িত্ব পালনে আপনাদের আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রশংসিত।এই সুনাম ধরে রাখতে আাপনারা সততা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করবেন-এটাই আমার প্রত্যাশা।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ঝুঁকিপূর্ণ রক্ষীদের ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রথমে পিজিআর-এর জন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার গণভবন সংলগ্ন ব্যারাক তৈরি এবং গার্ডদের পরিবারের জন্য ১৪ তলা ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসন সমস্যার সমাধান করেছে।জাতির পিতা ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পিজিআর গঠন করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য উপযুক্ত সমর শক্তি গড়ে তুলেছিলেন।

সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সব বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাহিনীগুলোকে সক্ষম করা হয়েছে- যাতে করে তারা বৈশ্বিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে-যেখানে তারা অন্যান্য বিশ্ব বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সাথে সঙ্গতি রেখে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে।

বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলছি, যাতে কখনো অন্যের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যেতে না হয়।আগামী দিনেও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করি।’

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর, উন্নয়ন সহযোগীরা এখন আর আগের বছরগুলোর মতো অনেক শর্ত দেয় না।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে হেঁটে সকল অফিসার এবং জুনিয়র কমিশনড অফিসারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।পরে প্রধানমন্ত্রী পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন।

তিনি ভিভিআইপি দায়িত্ব পালনের সময় গুরুতর আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং পিজিআর সদস্যদের মধ্যে উপহার বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + twenty =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x