ফরিদপুরের সালথা, নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত।জেলার সালথা উপজেলায় এবছরে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে।বর্তমানে হালি পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এ উপজেলার চাষীরা।
পেঁয়াজ মসলা জাতীয় ফসল হওয়ায় পেঁয়াজ চাষ করে বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা।গত বছর পেঁয়াজের দাম কম পাওয়ায় এবার লাভের আশায় সালথার চাষীরা পেঁয়াজ চাষ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
আজ সরেজমিনে পেঁয়াজ ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, হালি পেঁয়াজের সবুজ গাছে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ।ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে খুব সকালে চাষীরা টেঙ্গি হাতে নিয়ে পেঁয়াজ ক্ষেত পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
পেঁয়াজের চারাগুলোর গোঁড়ের দিকে টেঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মাটি আগলা করে দিচ্ছেন।সেই সাথে সার ঔষুধ দেওয়া হচ্ছে।যাতে তারাতারি চারা গাছগুলো বড় হয়ে গাছ থেকে পেঁয়াজের গুটি নামতে শুরু করে।এছাড়া পেঁয়াজ ক্ষেতের ভিতরের ঘাস ও আবর্জনা পরিস্কার করছেন অনেকেই।
উপজেলার পেঁয়াজ চাষীরা জানান, গত বছর পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় অনেকেরই লোকসান গুণতে হয়েছে।গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে পেঁয়াজের যত্ন নিচ্ছেন তারা।এবার পেঁয়াজের ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন তারা।সার কীটনাশক, পানি ও সময় মতো রক্ষণাবেক্ষন করতে অনেক খরচ হয়।
ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়াচরা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি এবং পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. মাসুদ শেখ বলেন, সার, কীটনাশক, পানি, কৃষান- কামলা ইত্যাদির অনেক খরচ হয়।কিন্তু সেই অনুযায়ী আমরা দাম পাই না।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করছি আমরা (পেঁয়াজ চাষিরা) যেনো পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পাই সেই ব্যবস্থা করবেন।
সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, এবছর সালথা উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১০ হাজার ৩শ ৯৫ হেক্টর।অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৯শ ৭০ হেক্টর।পেঁয়াজ চাষিদের বীজ ও সারসহ প্রয়োজনীয় প্রণোদনা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।পেঁয়াজ চাষ ভাল হচ্ছে এবং ফলনও ভাল হবে বলে আশা করি।