বগুড়ার ধনুট উপজেলার গোসাবাড়ি বাজারে পল্লী চিকিৎসক জিহাদ(৩০) এর বসতবাড়ী।বাড়ির পাশে বাগান নয়, ছাগলের খামার করেছেন জিহাদ (৩০) নামের এক পল্লী চিকিৎসক।খামারটিতে এখন ছোট-বড় ২০টি ছাগল রয়েছে।সাদা-কালো এবং খয়েরি রঙের ছাগলগুলো তোতাপুরি জাতের।বড় ছাগলগুলোর উচ্চতা প্রায় তিন ফিট। কানগুলো ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা।
শখের বশে খামারটি করেছেন জিহাদ।ফার্মেসি ব্যবসায় পাশাপাশি ব্যবসায়ী জিহাদ গত ৩ বছর আগে মাত্র ২২০০০ টাকার দুটি ছাগল নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ধীরে ধীরে এখন পরিণত হয়েছে বাণিজ্যিক খামারে।
বর্তমানে তার খামারে ২০টি ছাগল রয়েছে।এরই মধ্যে ১০ ছাগল বিক্রি করে আয় করেছেন প্রায় ৩ লাখ টাকা।এতে একদিকে ফিরেছে সংসারের সচ্ছলতা, অন্যদিকে পূরণ হয়েছে তার স্বপ্ন।
জিহাদ খামারটির নাম দিয়েছেন ‘জিহাদ গোট ফার্ম’।ছাগল ছানাগুলো উপযুক্ত হতে ৩-৫ মাস সময় লাগে।প্রকারভেদে ছাগল ছানা ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।বড় ছাগলগুলোর ৬৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দাম পাওয়া যায়।ছাগল পরিচর্যার জন্য আছে জিহাদের স্ত্রী উপমা পারভিন।
উপমা পারভিন বলেন, বিদেশি জাতের ছাগল হলেও এটি পালনে আলাদা কোনো সমস্যা হয় না।দেশি ছাগল যা খায় এই ছাগলগুলোও তাই খায়।এর জন্য আলাদা কোনো খাদ্য তালিকা নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছোট্ট সংসারে একটিমাত্র ছেলে একটি মাত্র মেয়ে।তাদের ছোট সংসারে বেশ ভালো ভাবেই চলছে খামারটি।
তিনি বলেন, জিহাদ একজন সফল খামারি।এতে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
ওই এলাকার কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, আমরা বুঝতেই পারিনি বাড়ির পাশে এত সুন্দর একটি উন্নত জাতের ছাগলের খামার রয়েছে।