সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সারিয়াকান্দিতে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী সারিয়াকান্দিতে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখন মিয়া বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করা হলো না এনজিও কর্মী সঞ্জয়ের সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম ও আশিক রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় বাইক আরোহী নিহত,আহত ২ মান্দায় মহান মে দিবস পালিত মে দিবসে খাবার স্যালাইন,ক্যাপ ও পানি বিতরণ করল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন ইতিহাসের টানিং পয়েন্ট : বাংলাদেশ ন্যাপ

ইতিহাসে যার যেটুকু ভূমিকা, তা অস্বীকার করলে একদিন ইতিহাসই মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৫৭ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ও নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন ছিল উপমহাদেশ তথা তৎকালিন পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ১৯৫৭ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন ছিল পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের প্রথম স্বাধীনতার ডাক।আজ আর সেই ইতিহাস আলোচিত হয় না।দেশের সকল শাসকগোষ্টি ইতিহাস থেকে সত্যকে আড়াল করতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর দেশে ইতিহাস ছিনতাইয়ের উৎসব চলছে।ভাষা-আন্দোলন, স্বাধীকার-স্বাধীনতা সকল কৃতিত্ব ছিনতাই করতে গিয়ে শাসকগোষ্টির পাঁচাটা-বিবেক বর্জিত বুদ্ধিজীবীরা নতুন নতুন ইতিহাস রচনায় ব্যস্ত ছিলেন সকল সময়।ইতিহাসকে ইতিহাসের গতি পথে চলতে দেয়া উচিত।ইতিহাসের গতিপথে বাঁধা দিলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।

তারা বলেন, ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব পাস্তিানের স্বায়ত্ব শাসন ও স্বাধীকার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল।সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছিল।কাগমারী সম্মেলনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী যে গুরুত্বপূর্ণ ও জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছিলেন তা আজো আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা-মানচিত্র রক্ষার সংগ্রামে অনুপ্রেরনা যোগায়।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচীর আয়োজন করেছিলেন, এর মধ্যে তাঁর অবিস্মরণীয় কীর্তি এবং উপ-মহাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হচ্ছে ১৯৫৭ সালের ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন’।উপ-মহাদেশ ও পূর্ব বাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর তাৎপর্য অনাগত কালের গবেষকদের কাছে স্বীকৃত।

তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন গড়ে তুলতে মওলানা ভাসানী যে অবদান রেখেছেন-যে সম্মানি তিনি প্রাপ্য ছিলেন স্বাধীনতার ৫১ বছরের সরকারগুলো তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা দিতে ব্যার্থ হয়েছে।আমাদের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রয়োজনে তাঁকে ব্যবহার করলেও প্রকৃত অর্থে তাকে তাঁর যথাযোগ্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার কোন কর্মসূচীই গ্রহন করেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 12 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x