পটুয়াখালীর গলাচিপায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম হওয়ায় আদালতে মামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারী মোকাম গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন গোলখালী ইউনিয়নের গোলখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার পুত্র মো. সায়েম।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে “দৈনিক যায়যায় দিন” পত্রিকায় গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে জনবল নিয়োগের এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (নৈশ প্রহরী) পদে আবেদন করেন মামলার বাদী মো. সায়েম।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম একটি প্রবেশ পত্র প্রদান করেন।
গত ২১ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাদীসহ অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন।
উক্ত পরীক্ষায় বাদী মো. সায়েম লিখিত পরীক্ষায় সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে ১ম স্থান অধিকার ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তির্ন হলেও নিয়োগ বোর্ড অবৈধভাবে ৯নং বিবাদী মো. নবীনকে ১ম স্থান বিবেচিত করে ফলাফল প্রকাশ করে।
অবৈধভাবে ফলাফল প্রকাশের বিরুদ্ধে বাদী মো. সায়েম নিয়োগ বোর্ড, গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিকে মৌখিকভাবে পরীক্ষার খাতা ও ফলাফল পুনরায় যাচাই বাছাইয়ের জন্য বললেও তাতে তারা সারা না দেয়ায় পরে ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে মো. সায়েম লিখিতভাবে সকলকে বিষয়টি জানায়।
বিষয়টি সুরহার জন্য মো. সায়েম মোকাম গলাচিপা সহকারী জজ আদালত, পটুয়াখালীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সভাপতি, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মো. নবীন পিতা. আবদুল রহিম মোল্লা (উক্ত পদের ৪নং প্রার্থী) কে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪৮/২০২৩, তারিখ- ৩১/০১/২০২৩। এ বিষয়ে বাদী মো. সায়েম বলেন, এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন পরবর্তী পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছি। কিন্তু নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের অনিয়মের কারণে স্বপদে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হই। পরীক্ষার খাতা পুনরায় দেখা হলে আমি যোগ্য বলে বিবেচিত হব।এ কারণে আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, নিয়োগ বোর্ডের সদস্যগণ সঠিকভাবে পরীক্ষা নিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছেন।এখানে কোন অনিয়াম হয় নাই।তাছাড়া ফলাফলে আমার কোন হাত নেই।