নান্দাইলের জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর খান বাড়ির মৃত আকবর আলীর পুত্র মো. শহীদুল্লাহ্ (৫৩) নামের এক নিরীহ ব্যক্তি ও পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১ টার দিকে জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে শহীদুল্লাহ্ কে মারপিট ও বসতঘরে হামলা চালিয়ে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শহিদুল্লাহ
নান্দাইল মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহিদুল্লাহর দূর সম্পর্কের আত্নীয় নাহিদ ফাতেমা নুপুরের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ওযারিশান জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।এ ঘটনা বেশ কয়েকবার নাহিদ ফাতেমা নুপুরের নির্দেশ তার লোকজন শহিদুল্লাহ কে মারপিট ও অত্যাচার করে।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১ টার দিকে রাজা মিয়ার পুত্র মিয়াজী (২৮), মৃত অলইকরামের পুত্র ইয়াছিন মিয়া (২৫) বেআইনিভাবে বসত ঘরে তালা লাগাইয়া রাখে।শহিদুল্লাহ্ ও তার স্ত্রী মোছাঃ মাহমুদা আক্তার ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে অভিযুক্তরা হামলা চালায়।হামলায় শহিদুল্লাহ কে এলোপাতারি লাথি, কিল ঘুষি ও মারপিট করে।এক পর্যায়ে নাহিদ ফাতেমা নুপুরের নির্দেশে ক্ষিপ্ত হয়ে তারই পুত্র মিয়াজী শহিদুল্লাহকে গলা চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
স্ত্রী মাহমুদা আক্তার কে কাপড় চোপড় টেনে শ্লীলতাহানি করে।এসময় মাহমুদার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, ব্যানাটি ব্যাগে থাকা ২,২৫,০০০ টাকা দুটি এন্ড্রয়েট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এসম বসত ঘরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
ভোক্তভোগী শহিদুল্লাহ বলেন, আমি নিরীহ অসহায় মানুষ।অভিযুক্তরা আমাকে সব সময় অত্যাচার নির্যাতর করে।রাতেও আমাকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করেছিল।আমার দাড়ি ছিঁড়ে ফেলছে।আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে।এ ঘটনায় এসআই বাবলুর রহমানকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।