চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলায় বৈরাগ ইউনিয়নের হঠাৎ করে বেড়েছে চোরের উপদ্রব।গরু চুরি, নির্মাণ সামগ্রী কাজের জন্য লোহা (রড) চুরি, মসজিদ থেকে দানবক্সের তালা ভেঙ্গে টাকা চুরি, মসজিদের পানি মটর এবং মসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধা জন্য সড়কের লাগানো বৈদ্যুতিক তার,বাতি চুরি, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা, রিকশা ব্যাটারি, টিউবওয়েলসহ কোনকিছুই বাদ পড়ছে না চোরের তালিকা থেকে।যে কারণে হঠাৎ এমন চুরির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
জানা যায়, ২৬ শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে ২ টার দিকে জানে আলম এর মুরগীর ফার্মের টিউবওয়েল চোরে নিয়ে যায়।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী ছাত্রলীগ নেতা রিমন এর গোয়াল ঘরে চোর এ হানা দেয়,গোয়াল ঘরে দরজা মজবুত থাকার কারণে গোয়াল ঘরের প্রবেশ করতে না পেরে। গোয়াল ঘরে পাশ থেকে টিউবওয়েলটি চুরি করে নিয়ে যায়, গত শনিবার রাতে চৌধুরী বাড়ির মোহাম্মদ ইসমাইল এর টিউবওয়েল এর শিকল কেটে চুরি করতে চাইলে ব্যার্থ হয়ে টিউবওয়েল ওপর অংশ খুলে নিয়ে যায় চোরে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,এলাকার কিছু বখাটে ও জুয়াটি, মাদক সেবীরা অর্থের জন্য এই জঘন্যতম কাজ করছে। বিশেষ করে মাদক সেবনের টাকা এবং জুয়া খেলার টাকা না থাকে তখন তারা চুরি করা জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।
সচেতন মহলের দাবি এসব চোর নিয়ন্ত্রণের জন্য জুয়ার এবং মাদক কারবারি তালিকা প্রকাশ করে চিহ্নিত করতে হবে, স্ট্রিট লাইট (সড়ক বাতি) ও সোলার প্যানেল নষ্ট বাতি গুলো পুনরায় স্থাপন করতে হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, জনপ্রতিনিধিসহ টহল আরো জোরদার করতে হবে।পাশাপাশি বিভিন্নভাবে সোর্স দিয়ে এসব চুরি মালামাল কোথায় বিক্রি হয় এসব জায়গা খুঁজে বের করে তাদেরকে ও আইনের আওতায় আনতে হবে।
চোরের উপদ্রব বিষয়ে জানতে বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী মোবাইল নাম্বারটা যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি পরিষদের মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকি আপনি কিছুক্ষণ পড়ে কল করুন।কিছুক্ষণ পড়ে মোবাইল নাম্বারটা কল দিয়ে সংযোগ না পাওয়া বক্তব্য নেওয়ার সম্ভব হয়নি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান জানান,টিউবওয়েল ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি।বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম।বিষয়টি আমরা দেখবো,দেখি কি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।