সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের হাসিল রঘুনাথপুর গ্রামে কর্ম সৃজন প্রকল্পে ৪১ জন শ্রমিকের স্থলে ১৫ জন শ্রমিক উপস্থিত।প্রকল্প চেয়ারম্যান কর্তৃক সিংহ ভাগ টাকা হরিলুটের পাঁয়তারা চলছে।
জানা যায়, উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোন কোন প্রকল্পগুলোতে শ্রমিকদের উপস্থিতি অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে (২১ শে এপ্রিল) রবিবার দুপুরে স্থানীয় ক’জন সংবাদকর্মী ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নে সরেজমিন প্রকল্প পরিদর্শনে যান।এ সময় হাসিল রঘুনাথপুর মজিদের বাড়ি হইতে শহিদুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের প্রকল্পের কাজ দেখতে গিয়ে ৪১ জন শ্রমিক স্থলে মাত্র ১৫ জন শ্রমিক উপস্থিত পাওয়া যায়।
প্রকল্পটিতে ১১ জন মহিলা শ্রমিক ও ৩০ জন পুরুষ শ্রমিক সহ মোট ৪১ জন শ্রমিকের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ৪১ জন শ্রমিকের স্থলে প্রতিদিন মাত্র ১৫ জন শ্রমিক দ্বারা প্রকল্পের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন।প্রতিদিন শ্রমিক হাজিরা মনিটরিং সেল অজ্ঞত কারণে বাতিল করা হয়েছে।এ কারণে প্রকল্প চেয়ারম্যানগণ তাদের ইচ্ছামত শ্রমিক হাজিরা দেখিয়ে প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্প গুলো এ রকমই হয়ে থাকে।আমার ৪১ জন শ্রমিকদের মধ্যে চেয়ারম্যানের ভিআইপি শ্রমিক ৫ জন, মহিলা ইউপি সদস্যের ১ জন, পিআইও অফিস ও ম্যানেজ করতে হয়।তাহলে বলেন শ্রমিক কম না থাকলে এগুল কেমনে ম্যানেজ করবো।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোওয়ার লিটনের কাছে জানতে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই।প্রকল্পে শ্রমিক কম নেয়ার কোন সুযোগ নেই।বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই।তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।