রাজশাহী মহানগরীর কাজিহাটা এলাকায় ময়লা ফেলে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে।শুধু ময়লা না পুকুরটি ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুরটির মালিক কয়েক বছর থেকে ভরাট করার জন্য ময়লা ফেলে আসছেন।মাঝেমধ্যে মাটি নিয়ে এসে ফেলা হয়েছে।কিন্তু তিনি সুযোগের অভাবে পুরোপুরি ভরাট করতে পারছেন না।তিনি এর আগেও পুকুর ভরাট করার জন্য বিভিন্ন যায়গায় অনুমতি চেয়েছিলেন।কিন্তু অনুমতি না পেয়ে তিনি কৌশলে তা ময়লার ভাগাড় বানিয়ে ভরাট করছেন।
নগরীর কাজিহাটা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুকুরটির আয়তন ১৫১২ শতাংশ বা নয় কাঠা।আরএস খতিয়ানে জমির শ্রেণিও দেওয়া আছে অকৃষি পুকুর।এই পুকুরের মালিকের নাম গোলাম আকবর।তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, পুকুরটি ভরাট করার উদ্দেশ্যে ভাগাড়ে পরিণত করার জন্য এলাকাবাসীর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হচ্ছে।সেই সাথে স্বাস্থ্যহানীও হচ্ছে।জীবানুবহন করা মশার উপদ্রব ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব সৃষ্টি হয়েছে।এছাড়াও পঁচা পানির গ্যাস ও দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।পুকুরটি দ্রুত নিষ্কাষণ করে আগের মতো স্বাস্থ্যসম্মত করা প্রয়োজন।না হলে এলাকাবাসীর ক্ষতি হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুকুরের মালিক গোলাম আকবর বলেন, পুকুরের আশেপাশে যারা বসবাস করে তারা পুকুরটিতে ময়লা ফেলে নোংরা করছে।আমি কয়েক মাস পরপর পুকুরটি পরিষ্কার করাচ্ছি।এখন আবার পুকুরটিতে ময়লা ফেলে রেখেছে।সিটি করপোরেশনের লোক নিয়ে এসে পুকুর পরিষ্কার করাবো।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।