বগুড়ার শিবগঞ্জের রায়নগরে বহুল আলোচিত শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান ২ আসামি পিতা- পুত্রকে আটক করে এ্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিন (র্যাব-১২)।
রবিবার দিবাগত রাতে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার বনানী আড়িয়া বাজার নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
শাহিনুর হত্যাকাণ্ডের এজাহার নামীয় ২ আসামিরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের ঘাগুর দুয়ার পশ্চিমপাড়া গ্রামের ঈসমাইল হোসেনের পুত্র শহিদুল ইসলাম ও তার পুত্র মেহেদী হাসান।এ মামলার তারা ১ এবং ২ নম্বার আসামি।
সোমবার সকাল ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মোনির হোসেন।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জের রায়নগর ঘাগুরদুয়ার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত শাহিনুরের স্ত্রী শাহানারা বেগম গত মাসের ২৭ মার্চ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাদের বসতবাড়িতে গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে গ্রেফতারকৃত আসামিদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে তার স্বামী শাহিনুর ইসলাম বাড়ীর পাশে একটি মুদি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।এসময় আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লোহার রড, গাছের ডালপালা দিয়ে মারপিট করে।এতে শাহিনুরকে তার ছেলে আজিজুল ইসলাম বাঁচাতে এলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়।পরে আসামীরা শাহিনুরের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এসময় স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাত ৯টার দিকে শাহিনুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।৩০ মার্চ শাহিনুরের স্ত্রী শাহানারা বেগম শিবগঞ্জ থানায় ১ টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।সেই মামলার পরি প্রেক্ষিতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।পরে র্যাব তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার রাতে মামলার প্রধান ২ আসামি শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আইনী প্রক্রিয়ায় শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।