বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় বাইক আরোহী নিহত,আহত ২ মান্দায় মহান মে দিবস পালিত মে দিবসে খাবার স্যালাইন,ক্যাপ ও পানি বিতরণ করল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন সারিয়াকান্দিতে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের মহান মে দিবসে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের র‍্যালী ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সারিয়াকান্দিতে প্রতিপক্ষের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

রাজশাহীতে টিবিপুকুর গণহত্যা দিবস পালিত

রাজশাহীতে টিবিপুকুর গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়।

এদিন বিকেলে টিবিপুকুর গণকবরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং গণকবর প্রাঙ্গণে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান।

সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশবিদ কাজী রকিব উদ্দিন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ: সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু সহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।এ কর্মসূচিতে সংগঠন দুটির সদস্যরা অংশ নেন।সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা রাজশাহী নগরীর টিবিপুকুর হাসপাতালে ঢুকে পড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।পাক বাহিনী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিকামী জনগণের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করতে থাকে।ওইদিন টিবি হাসপাতালে গিয়ে কর্মচারীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পাক বাহিনীর সদস্যরা।গুলিতে হাসপাতালটির কর্মচারী আবদুল বারি হাওলাদার, আবদুল কাইউম ও মো. সেলিম নিহত হন।ন্যাক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডের পর দুদিন ধরে মরদেহ হাসপাতালের মেঝেতেই পড়ে থাকে।দুদিন পর শহীদ আবদুল বারি হাওলাদারের সদস্যরা শিতলাই এলাকায় অবস্থানের পর হাসপাতালে এসে মেঝেতেই তিনটি মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।

তারা বলেন, এরপর স্বজনরা হাসপাতালের দরজার একটি পর্দার কাপড়ে তিনটি মরদেহ জড়িয়ে টিবি পুকুরের পাশে গণকবর দেন।১৪ এপ্রিলের গুলিবর্ষণে বহু হতাহত হয়েছিল।পরবর্তীতে তাদের খোঁজ পাওয়া যায় নি।এ ঘটনার স্মরণে শহীদ আবদুল বারি হাওলাদারের সন্তান ফটো সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ ২০০৬ সালে তার পিতার গণকবরটিতে স্মৃতিফলক বসানোর ব্যবস্থা করেন।

উক্ত সমাবেশ থেকে বক্তারা দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবানও জানান তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x