হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি,এটা নতুন কিছু নয়, হরহামেশায় দেখা যায় দেশের আনাচে-কানাচে বাজারগুলোতে।প্রায়ই এমন চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষসহ বিভিন্ন গাড়ির চালক এবং যাত্রীরা।
১২ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিনোদপুর বাজার এলাকায় বানেশ্বর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহাসড়কে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে চলছে প্রকাশ্যে এই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি।
জানা যায়, এই হাতিগুলো ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাঘা ঈদ মেলার সার্কাসের হাতি।এতে অনেক গাড়ির চালকসহ যাত্রীরা ভয় পেয়ে বাধ্য হয়ে দিচ্ছে টাকা।অনেক গাড়ির চালক এদের হাত থেকে বাচতে গাড়ি চালাচ্ছে বেপরোয়।এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনা হতে পারে বলে মনে করছে যাত্রিরা।
অনেকেই বিরক্ত ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের গতিরোধ করে টাকা তোলাকে কেউ কেউ বলছেন চাঁদাবাজি।হাতি দিয়ে টাকা তোলা থেকে নিস্তার নেই পথযাত্রীদের।আবার হাতির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও।পথচারীদের কেউ কেউ হাতি–আতঙ্কেও আছেন।
নয়ন নামের এক মাইক্রোবাসচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় মাঝেমধ্যেই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়।টাকা না দিতে চাইলে হাতি গাড়ির সামনে থেকে সরে না।
উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজারের হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য দেখা যায়।অনেকের প্রশ্ন, এটা একধরনের চাঁদাবাজি।কিন্তু দেখার আসলে কেউ নেই।রাস্তা বন্ধ করে এরা তো একধরনের নৈরাজ্য চালাচ্ছে।কিন্তু কাদের ছত্রছায়ায় চলছে এমন চাদাবাজি? প্রশাসন কেনোই বা নিরব ?