ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌর সদরের ভাঙ্গা বাজারে গোশত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারণা করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে ভাঙ্গা বাজারে মাংস ক্রেতা সহ সচেতনমহল থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা পৌর সদরের মাছ বাজার সংশ্লিষ্ট বাজারে অস্বাস্থ্যকরভাবে গরু-ছাগল জবেহ করা, অনেক বয়স্ক, কাবু, রোগাক্রান্ত, অস্বাস্থ্যকর পশুর গোশত বিক্রি সহ প্রতারণা করে গোশত বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়।প্রশাসনের গোশত বিক্রির নিয়ম-কানুন না মেনে গোশত বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় সচেতন এক ক্রেতা আব্দুল্লাহ জানান, গরু ছাগল জবেহ করার সময় স্বাস্থ্য সম্মতভাবে না করার কারণে (জবাই করার সময় বেশি ওজনের জন্য রক্ত প্রবাহিত হতে দেয় না, বিশেষ কৌশলে রক্ত মাংসের মধ্যে জমাট বেঁধে রাখে) মানুষের দেহে মারাত্বক রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।ভাঙ্গার কসাইরা বয়স্ক, কাবু, রুগা সহ যত স্বাস্থ্যহীন গরু আছে, সেই গরু জবাই দেয় এই বাজারে।যা খাবার অযোগ্য।এভাবেই কসাইরা প্রতারণা করে আসছে ভাঙ্গায়।এ কারণে ভাঙ্গায় মাংস বিক্রি কম হয়।আমরা অন্যত্র বাজার থেকে গরুর মাংস কিনি।
ভাঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান এক ফেসবুক কমেন্টসে লিখেন, গাভীকে ষাড়, নারী ছাগলকে খাসি বলে গরু ছাগল বিক্রি হয়।কসাইরা গাভী জবাই করে ষাড়ের লিঙ্গ ফ্রিজে রেখে ওই লিঙ্গ দিয়ে একাধিকবার গাভীর সঙ্গে সেলাই করে প্রতারণা করে বিক্রি করে।সারা দেশের মত মাংস ঝুলিয়ে বিক্রি না করে ভাঙ্গার কসাইরা মাংস বিছিয়ে তার নিচে চর্বি ভরে দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিক্রি করে।আমরা প্রশাসনের তদারকি কামনা করি।
সিদ্দিক শেখ নামের এক ক্রেতা জানান, মাংস কেনার সময় ওরা মাংসের সাথে আলাদা করে ৩ থেকে ৪’শ গ্রাম চর্বি, কাট সাট চোখের পলকে মিশিয়ে দেন পরে বাড়ি গিয়ে দেখি মাংসই নাই।বাংলাদেশের কোথাও এমন ঠকবাজ বেচাকেনা দেখি নাই।বাটখারার উপরে গামলা দিয়ে ঠকবাজি করে।
আরেক ক্রেতা ইমরান মুন্সী বলেন, ৭০০ টাকা কেজি দরে মাংস কিনেছি।তবে ৭০০থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গার সেনেটারী ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা বলেন, কসাইরা আগে আমাদেরকে না জানিয়ে গ্রামের ভিতর জবাই দিতো।বর্তমান নির্দেশনা দিয়েছি বিক্রির স্থানে জবাই দিতে হবে।তবে সরকারি বিধিমালায় রয়েছে গরু ক্রয় করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জবাইয়ের যোগ্য কিনা সেই সার্টিফিকেট নিয়ে কসাইখানায় টাঙ্গিয়ে দিয়ে জবাই দিতে হবে জনসম্মুখে।এসব কসাইরা করেন না, কসাইখানা না থাকার জন্য।সরকারি রেট রয়েছে গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকা।এর বাইরে করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা সহকারি কমিশনার ভূমি (ম্যাজিস্ট্রেট) মেশকাতুল জান্নাত রাবেয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি আগে শুনি নাই।রমজান মাসে যদি এমন করে থাকে তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।আমরা এবিষয়ে তদারকিতে নামবো।