সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বাপমরা বিলের কয়েক হাজার বিঘা আবাদী জমির জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই অর্থ সংকট দেয়া দিয়েছে।বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে বিলের তিন ফসলী জমি গুলো, এখন এক ফসলী জমিতে পরিনত হয়েছে।এই বিলের আবাদি জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক ঋণ সহায়তায় ৬২৮ মিটার পাইপ ড্রেণ স্থাপনের জন্য চল্লিশ লাখ বাইশ হাজার একশত ১ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
উপজেলা পরিষদের বাস্তবায়নে উক্ত পাইপ ড্রেণের নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ করে ইসলাম কন্সট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।কিন্তু নির্মাণকৃত সেই পাইপ ড্রেন জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কোনো কাজেই আসছে না কৃষকদের।
জানা যায়, উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের বাপমরা বিলে আবাদী জমি গুলোতে গত কয়েক বছর আগেও তিন ফসলী হিসেবে চাষাবাদ করতো কৃষক।কিন্তু অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে এই বাপমরা বিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।জলাবদ্ধতার কারণে এই বিলের জমি গুলো এখন ফসলী জমিতে পরিনত হয়েছে।এই বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৬২৮ মিটার পাইপ ড্রেণ স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জন্য বিলের মাঝখান থেকে পাইপ ড্রেন নির্মাণ করে গাড়–দহ নদী পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু তা না করে বিলের মাঝখান থেকে শুরু করে বিলের মাঝ পথেই পাইপ ড্রেণ নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যায়।এতে জলাবদ্ধতা নিরসন না হয়ে বিলে আরো বেশি জলাবদ্ধতা তৈরির শংকা তৈরি হয়েছে।চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বিলের চাষাবাদকৃত জমির ফসল ঘরে তুলতে জলাবদ্ধতার সাথে লড়াই হবে বলে মনে করছেন চাষীরা।
স্থানীয় কৃষক দেলবার হোসেন, শফিকুল ইসলাম, বেল্লাল হোসেন জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে যে ড্রেণ নির্মাণ করা হয়েছে।তা আমাদের কোন কাজে আসবে না।পুরো টাকা টাই পানিতে গেছে।আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী সমাধান চাই।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইসলাম কনস্ট্রাকশনের মালিক নুরুল ইসলাম বুদ্দু জানান, বাপমরা বিলের মাঝে পাইপ ড্রেণ নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী যে ভাবে ডিজাইন করে দিয়েছেন সেই ভাবেই কাজ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ এর কাছে পাইপ ড্রেণ নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে যেভাবে বলা হয়েছে আমরা সে ভাবেই ডিজাইন করেছি।
বাপমরা বিলে পাইপ ড্রেণ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম দফায় যতটুকু বরাদ্দ ছিল, ততটুকু কাজ করা হয়েছে।জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ঐ বিলে আবারো নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হবে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান, বিলটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আরেকটি গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে